চলতি বছরে এটাই প্রথম নয়। এর আগে মে মাসেও রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল। এর পাশাপাশি জুন, অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসেও ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে রেপো রেট বেড়েছিল। অর্থাৎ এই নিয়ে টানা পাঁচ বার বাড়ল রেপো রেট। যদিও ডিসেম্বর মাসের রেপো রেট খুব স্বল্প পরিমাণেই বেড়েছে, তবে গৃহস্থালীর বাজেটে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে চলেছে। কারণ বাড়ছে ঋণ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা জিনিসের খরচ। বিগত কয়েক মাসে আরবিআই-এর হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের জেরে ঋণের খরচ এবং ইএমআই বেশ বেড়ে গিয়েছে।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে নিজের ঋণের খরচ হিসেব করে রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই দেখে নেওয়া যাক, বাড়ি এবং গাড়ি সংক্রান্ত ঋণের ক্ষেত্রে হিসেব কীভাবে করা যায়। আর তার পাশাপাশি কী কী মাথায় রাখা বাঞ্ছনীয়।
সুদের হার বৃদ্ধির এই পরিস্থিতিতে ঋণের জন্য আবেদন করার আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি:
ঋণের জন্য আবেদন করার প্রস্তুতি নিয়ে থাকলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নিজের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে ইএমআই পরিশোধ করার বিষয়টা হিসেব করতে হবে। ঋণদাতারা সাধারণত ঋণ পরিশোধ বা ইএমআই-এর মেয়াদ বৃদ্ধি করে। ফলে ইএমআই-এর পরিমাণের ক্ষেত্রে একটা বদল আসবে। ফলস্বরূপ, ঋণের মেয়াদও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেটা মাথায় রাখতে হবে।
কেমন সুদের হার অফার করা হচ্ছে?
ভিন্ন ভিন্ন ঋণদাতা কেমন হারে সুদ অফার করছে, সেই বিষয়টা ভাল ভাবে বুঝে নিয়ে তুলনামূলক বিচার করতে হবে। যাতে সবথেকে ভাল সুদের হারে ঋণ পাওয়া যায়।
ঋণের পরিমাণ কত?
ঋণগ্রহীতা যে ঋণ নিতে চাইছেন, সেটাই সুদ-সহ পরিশোধের পরিমাণের ক্ষেত্রে বড়সড় ভূমিকা পালন করে থাকে। ঋণ নেওয়ার আগে কতটা পরিমাণ ঋণ নেওয়া হবে, সেটা নিয়েই একটা দ্বিধা থেকে যায়। আসলে এটা হয় কারণ ঋণদাতারা একাধিক স্কিম অফার করে। এমনকী বর্ষশেষের আগেই বড়সড় লোনের অফারও দিয়ে থাকে ঋণদাতারা। এছাড়াও যে ধরনের ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনাই করা হোক না-কেন, সবার আগে মাসিক কিস্তি বা ইএমআই-এর হিসেবটা কষে নিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সাহায্য করতে পারে ইএমআই ক্যালকুলেটর।