মাশরুমকেই উপার্জনের মাধ্যম বানিয়েছেন সীতাগড়ির মহিলারা। বিনামূল্যে বীজ, প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে তাঁদের সাহায্য করছে সিডবিআই দিল্লি এবং অবতার ফাউন্ডেশন। বীজ রোপণের কয়েকদিনের মধ্যেই মাশরুম ফুটতে শুরু করে। এক ব্যাগ থেকে ৩ কেজি মাশরুম পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- শীঘ্রই আসছে পিএম কিষাণের ১৪তম কিস্তি, অনেক কৃষকের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ৪০০০ টাকা!
advertisement
অবতার ফাউন্ডেশনের কর্মী আকাশদীপ বলেন, ‘আমরা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ১৫ জন মহিলাকে নিয়ে একটি দল তৈরি করি। তাঁদের প্রশিক্ষণ, বীজ এবং অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণ শেষে অয়েস্টার মাশরুমের চাষ করা হয়’। অয়েস্টার মাশরুম চাষে খরচ কম, উৎপাদন বেশি। মাশরুম চাষের ফলে গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আমূল বদলে গিয়েছে। বীজ এবং অন্যান্য সামগ্রীর জন্য প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ করে ফাউন্ডেশন। চাষের জন্য তিনবার বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়।
বাড়ির একটা ঘরে মাশরুম চাষ: মাশরুম চাষ করেই লক্ষ্মীলাভ করেছেন সুনীতা কাছাপ। তিনি বলেন, ‘বাড়ির একটা ঘরে মাশরুম চাষ করি। ১৩০ কেজি মাশরুম উৎপাদন হয়। ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এটা মোটেও শক্ত কাজ নয়’।
প্রসঙ্গত, এক কেজি বীজ থেকে ১০ ব্যাগ মাশরুম রোপণ করা হয়। এক ব্যাগ থেকে সাত কেজি মাশরুম উৎপন্ন হয়। মানে ১০টি ব্যাগে প্রায় ৭০ কেজি মাশরুম প্রস্তুত করা যায়। মাশরুমে প্রোটিন, কম কার্বোহাইড্রেট, কম চর্বি, কম চিনি এবং খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য খুবই উপযোগী খাবার।
আরও পড়ুন- ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেলে লকারে রাখা জিনিসের কী হবে? আপনার যা জানা দরকার!
মাশরুম চাষ সহজ। প্রশিক্ষণ নিলে সুবিধা হয়। প্রথম দিকে মাশরুম বিক্রিতে কিছুটা সমস্যা হত। হাজারিবাগ বাজারে, কলম্বাস কলেজের সামনে, হাজারীবাগ কোর্টের সামনে কোরা বাজার গিয়ে বিক্রি করতেন। এখন লোকজন বাড়িতে এসে মাশরুম নিয়ে যায়।
সুনীতা আরও বলেন, ‘যে মাশরুম রয়ে যায় সেগুলো শুকিয়ে আচার বা স্যুপ বানাই। এটাও বিক্রি হয়। মাশরুম চাষ আমার ভাগ্য বদলে দিয়েছে। আমি খুশি’।

