ভারতে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি ২.০) কার্যকর করা হয়েছে, যার নতুন হার ৫% এবং ১৮%। ১২% এবং ২৮% হার অপসারণ করা হয়েছে। বিলাসবহুল পণ্যের উপর ৪০% কর আরোপ করা হয়েছে, যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র করমুক্ত। ইলেকট্রনিক পণ্যের উপর কর ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করা হয়েছে। এর ফলে অনেক পণ্য সস্তা হয়েছে। মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপের উপর জিএসটি হার ১৮% রাখা হয়েছে।
advertisement
খারে আরও বলেন, পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) হার হ্রাসের সুবিধা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে না দেওয়ার জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং গ্রাহকরা প্রতারিত হচ্ছেন। সেই সমস্ত ঘটনা ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, খুচরো বিক্রেতারা জিএসটি হার হ্রাসের সুবিধা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন না। ফলে গ্রাহকরা প্রতারিত বোধ করছেন এবং বিপুলসংখ্যক অভিযোগের সম্মুখীন হচ্ছে সরকার। ফলস্বরূপ, সরকারকে তার পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হয়েছে।
খারে আরও বলেন, মন্ত্রণালয় এই অভিযোগগুলি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে এআই এবং চ্যাটবট ব্যবহার করছে। ফলে কোন ক্ষেত্রগুলি সবচেয়ে বেশি অনিয়মের সম্মুখীন হচ্ছে, তা শনাক্ত করা সহজ হচ্ছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিছু খুচরো বিক্রেতা গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার জন্য প্রতারণামূলক কৌশল ব্যবহার করছে, যদিও ইতিমধ্যেই হার হ্রাস করা হয়েছে।
চলতি বছর ২২ সেপ্টেম্বর জিএসটি সংস্কার কার্যকর করা হয়েছিল। জিএসটি সংস্কারের অধীনে কর ব্যবস্থা সরলীকৃত করা হয়েছিল শুধু ৫% এবং ১৮% করের স্ল্যাব-সহ। ১৮% কর স্ল্যাবের মধ্যে রয়েছে এয়ার কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, ডিশওয়াশার এবং বড় স্ক্রিনের টিভি। আগে এই পণ্যগুলির উপর ২৮% কর ধার্য ছিল, কিন্তু এখন ১৮% কর ধার্য করা হয়েছে। ফলে, এই পণ্যগুলি আরও সাশ্রয়ী মূল্যের হয়ে উঠেছে, যা মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে স্বস্তির তো বটেই!