জানা গিয়েছে, নতুন করে বিমান পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এই সংস্থাটি। সেই মতো কাজ চলছে। কিন্তু ২০২৩ সালের মে মাস থেকে কর্মচারীদের বেতন দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। সেই কারণে সংস্থার মোট ৬০০ পাইলটের মধ্যে ৫০০ জনই পদত্যাগ করেছেন। অন্যত্র চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছেন। বর্তমানে Air India বা IndiGo-র মতো বিমান সংস্থা তাদের ব্যবসায়িক পরিধি বিস্তার করতে চাইছে। ফলে তারা নতুন করে কর্মী নিয়োগ করছে।
advertisement
আরও পড়ুন- সাপের কপালে চুমু খেলেন এক ব্যক্তি! তারপর যা হল, না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না!
তবে শুধু বিমানচালকরাই নন। Go First-এর অন্য কর্মীদের মধ্যেও শুরু হয়েছে চাকরি ছাড়ার হিড়িক। চলতি বছর জুলাই থেকে প্রায় ১২০০ কেবিন ক্রু এবং ইঞ্জিনিয়ার পদত্যাগ করেছেন। গত ১০ জুলাই বিমান সংস্থাটি যখন ক্রেতাদের কাছে ক্রয়ের আবেদন রেখেছিল তখন এর কর্মী সংখ্যা ছিল ৪২০০। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে তিন হাজারের কিছু বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরও কমে যাবে আগামী এক মাসে।
মনে করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সমসয়ে কর্মচারীর সংখ্যা আরও কমে ২৫০০ থেকে ২৪০০-তে দাঁড়াবে। কারণ, ইতিমধ্যেই আরও পাঁচ-ছ’শো কর্মী পদত্যাগ করেছেন। আগামী এক মাসেই অন্যত্র চলে যাবেন।
তবে শুধুই বেতন না পাওয়া নয়। কর্মচারীদের হতাশার আরেকটি কারণ স্পষ্টতার অভাব। অন্তবর্তীকালীন তহবিল নিয়ে কোনও স্পষ্টতা না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন– শুধু ভেবে নিন কোথায় পৌঁছবেন, লক্ষ্যভিত্তিক বিনিয়োগ বাকিটা সহজ করে দেবে এই ভাবে
বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য ৪৫০ কোটি টাকা অন্তর্বর্তী তহবিল হিসেবে জমা করার কথা জানিয়েছিল ঋণদাতারা। কিন্তু ব্যাঙ্কগুলি আপাতত দিল্লি হাই কোর্টের রায়ের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সংস্থা পুনরুজ্জীবনের জন্য নতুন বিমান ভাড়া নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। তাই কোনও বিনিয়োগকারী এই সংস্থায় বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই দেখে নিতে চাইবে পর্যাপ্ত বিমান রয়েছে কি না, যাতে পরিষেবা চালু হলে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
সম্ভবত সেই কারণে Go Fist আগ্রহীদের প্রতিক্রিয়া জানার সময় একমাস বাড়িয়ে ৮ সেপ্টেম্বর করেছে।