চলতি বছরের ডিসেম্বরে মুদ্রানীতি পর্যালোচনা বৈঠক হবে। সেই প্রসঙ্গ টেনে CNBC-TV18-এর গ্লোবাল লিডারশিপ সামিটে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “সুদের হার নিয়ে মন্তব্য ডিসেম্বরের জন্য তুলে রাখছি।”
এদিন গ্লোবাল লিডারশিপ সামিটে প্রথমে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি সুদের হার কমানোর পক্ষে জোর সওয়াল করেন। তাঁর মতে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি এবং মূল মুদ্রাস্ফীতিকে মিলিয়ে দেখাটা ঠিক হচ্ছে না। এই দুটো বিষয়ের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। সুদের হার বাড়ালেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে যাবে, এমন ধারণাও ঠিক নয় বলেও মনে করেন তিনি।
advertisement
এরপরই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এমপিসি সভা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলে দেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অবশ্যই সুদের হার কমানো উচিত।” গোয়েল আরও বলেন, “মোদি সরকারের শেষ ১০ বছরে ভারতের গড় মুদ্রাস্ফীতি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে কম ছিল।”
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ভিন্ন মত পোষণ করেন। তাঁর মতে, আগে মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম পরাতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে আর্থিক প্রবৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপর ফোকাস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই নীতি কাজে এসেছে বলেও মনে করেন তিনি। এখন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই তাঁর কাছে অগ্রাধিকার।
আরও পড়ুন : সুদের হার কমানোর পক্ষে সওয়াল পীযূষ গোয়েলের, উল্টো মত আরবিআই গভর্নরের
আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, অক্টোবরে সিপিআই ছিল গত ১৪ মাসে সর্বোচ্চ। খাদ্য ও সবজির মূল্যবৃদ্ধিই এর জন্য দায়ী। মাসকাবারি জিনিসপত্র থেকে শুরু করে খাবারদাবার কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। এই পরিস্থিতিতে সুদের হার কমানো রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষে সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন : সাতসকালে বিষাক্ত ধোঁয়াশায় ঢাকল রাজধানী, গুরুতর মাত্রায় চলে গিয়েছে বায়ুদূষণ; কারণ চমকে যাওয়ার মতো
এখন সুদের হার আদৌ কমানো হবে কি না, সেই নিয়ে মুখ খোলেননি আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আপাতত ডিসেম্বরে মুদ্রানীতি পর্যালোচনা বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেদিকেই সবাই তাকিয়ে রয়েছে। তারপর হয়ত এই নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে পারেন। গ্লোবাল লিডারশিপ সামিটে শক্তিকান্ত মনে করিয়ে দিয়েছেন, “স্থিতিশীল আর্থিক ব্যবস্থার কারণেই ভারতের অর্থনীতি সুচারুভাবে চলছে।”