জ্বালানি: যে জিনিসগুলোর দাম বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে তার মধ্যে একটা হল জ্বালানি। গত কয়েক মাস ধরেই পেট্রোল ডিজেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এর থেকে পরিত্রাণ চাইছে মানুষ। কিন্তু আসন্ন বাজেটে কোনও সুরাহা হবে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এর প্রধান কারণ বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বৃদ্ধি এবং রুপির দামে পতন। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে পণ্য ও পরিষেবার দামের উপর প্রভাব পড়বে, কারণ পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: দেখে নিন ২০২৩ সালে মহিলাদের জন্য সেরা ৫ সেভিংস অ্যাকাউন্টের হদিশ!
সোনা: আরেকটা জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা সোনা। গত কয়েক মাসে সোনার দাম চড়চড় করে বেড়েছে। এবং আগামী বছরে তা আরও বাড়বে। এর পিছনে রয়েছে রুপির দামে পতন এবং হলুদ ধাতুর চাহিদা বৃদ্ধি। সোনার দাম বৃদ্ধির ফলে গয়না এবং অন্যান্য স্বর্ণ-ভিত্তিক পণ্যের দামের উপর প্রভাব পড়বে।
বিলাসবহুল পণ্য: জ্বালানি এবং সোনার পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে বিলাসবহুল পণ্যের দাম বাড়বে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি, উচ্চমানের ঘড়ি, ডিজাইনার পোশাক ইত্যাদি। রাজস্ব বাড়াতে এবং অত্যধিক খরচ রোধ করতেই এই সামগ্রীগুলির উপর সরকার কর চাপাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সোনার দাম কি আগামী দিনে বাড়তে পারে না কমতে পারে?এক নজরে দেখে নিন সমস্ত খুঁটিনাটি
পরিশেষে: ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তার আগে জ্বালানি, সোনা এবং বিলাসবহুল পণ্যের উপর নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলোর দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রাহকরা কিছুটা স্বস্তিও পেতে পারেন। অর্থাৎ কিছু জিনিসের দাম কমতেও পারে। কারণ সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে যে নির্দিষ্ট আইটেমগুলিকে আরও সাশ্রয়ী করতে পদক্ষেপ নেবে। বাজেট অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপরও জোর দেওয়া হবে, যা দাম স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করতে পারে।