মধ্যপ্রদেশে শুরু হয়েছে এই প্রবণতা। সম্প্রতি নর্মদাপুরমের কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন মুগ চাষে দ্বিগুণ ফলন পেতে দেশীয় মদ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। এখানকার কৃষকদের দাবি, মুগ উৎপাদনে দেশি মদ দিলে ফলন দ্বিগুণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ফিক্সড ডিপোজিটে ৯ শতাংশের বেশি সুদ, এই চার ব্যাঙ্কে টাকা রাখলেই মালামাল!
শুধু তাই নয়, এতে ফলন ভাল হয় বলেও মনে করেন অনেকে। তাছাড়া মদের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হবে না বলে মনে করেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি, ফসলেরও না কি মানুষের মতো নেশা হয়। তাতেই ফলন দ্বিগুণ হয়।
advertisement
কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার—
নেশার প্রসঙ্গ বাদ দিলেও অ্যালকোহলের অন্য গুণ কাজে লাগছে বলে দাবি। ডাল শস্য চাষে অ্যালকোহল স্প্রে করার পদ্ধতি খুবই সহজ। কৃষকরা জানান, পাম্পের সাহায্য সেচ করার সময় জলে দেশি মদ মিশিয়ে দিয়ে ছড়িয়ে দেন তাঁরা। ওইটুকু অ্যালকোহলের প্রভাব বাইরে থেকে মানুষের শরীরে তেমন ভাবে পড়ে না। কিন্তু এর ঝাঁঝালো গন্ধে কীটপতঙ্গ পালায়। কীটনাশক ছড়ানো ফসলের পক্ষে ভাল নয়। মানুষের শরীরেও তার প্রভাব পড়ে।
স্থানীয় কৃষক পঙ্কজ পাল বলেন, উৎপাদন বাড়াতে মুগ ডালে যে ওষুধ দেওয়া হয় তার অর্ধেক খরচে অ্যালকোহল ছড়ানো যায়। প্রতি একরে ৫০০ মিলিলিটার অ্যালকোহল দিতে হয়। ২০ লিটার জলে প্রায় ১০০ মিলিলিটার অ্যালকোহল মেশানো হয়।
তবে এই কাজকে সম্পূর্ণ ভুল বলে আখ্যা দিয়েছেন কৃষিবিদরা। প্রবীণ কৃষিবিদ কে কে মিশ্র বলেন, গ্রীষ্মকালীন মুগে অ্যালকোহল স্প্রে করা অপ্রয়োজনীয়। এতে ফসলের কোনও লাভ হচ্ছে না। আবার যদি কীটনাশকের সঙ্গে অ্যালকোহল মিশিয়ে সেচ দেওয়া হয়, তবে এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাঁর আশঙ্কা, এতে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তাঁরা কৃষকদের ফসলে অ্যালকোহল স্প্রে না করার জন্য অনুরোধ করছেন।