প্রথম ৫০ লাখ টাকার তহবিল নিজেদের মাসিক অবদান দিয়ে তৈরি হয়। প্রাথমিকভাবে, মাসিক অবদান ৫০ লাখ টাকার তহবিল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরে, তহবিলের রিটার্ন তহবিলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি গণনার মাধ্যমে এটি বুঝে নেওয়া যাক।
প্রথম ৫০ লাখ টাকার তহবিলে নিজের অবদান ৫৯% (২৯.৫ লাখ) এবং বিনিয়োগের উপর রিটার্ন ৪১% (২০.৫ লাখ)। দ্বিতীয় ৫০ লাখের ক্ষেত্রে এই অনুপাত পরিবর্তিত হয়, অর্থাৎ, যখন সেই অর্থ ৫০ লাখ থেকে ১ কোটিতে বৃদ্ধি পায়। রিটার্ন ৭১% (৩৫.৫ লাখ) এবং নতুন অবদান ২৯% (১৪.৫ লাখ)।
advertisement
বিনিয়োগের উপর রিটার্ন পরবর্তীতে সম্পদ বৃদ্ধিতে বৃহত্তর ভূমিকা পালন করে। যখন কেউ নিজেদের তহবিল ৪.৫ কোটি থেকে ৫ কোটিতে বৃদ্ধি করেন, তখন নতুন অবদান মাত্র ৬% (৩ লাখ) হয়, যেখানে ৯৪% (৪৭ লাখ) রিটার্ন থেকে আসে। এটি চক্রবৃদ্ধির জাদুর ফলাফল। একবার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে অর্থ রিটার্নের মাধ্যমে বৃদ্ধি পেতে থাকে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে নিজের জন্য একটি বড় তহবিল তৈরি হয়ে যেতে পারে।
চক্রবৃদ্ধির সুবিধা তখনই উপলব্ধি করা যায়, যখন কেউ সেই টাকা বৃদ্ধির জন্য সময় দেয়। প্রাথমিক অবদান ভিত্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পর রিটার্নের কারণে অর্থ বাড়তে থাকে। ৩০,০০০ টাকার মাসিক অবদান ৮ বছর ৩ মাসে ৫০ লাখ টাকার কর্পাস তৈরি করতে পারে।
৩০,০০০ টাকার মাসিক অবদান দিয়ে ৫০ লাখ টাকার ভিত্তি তৈরি করতে ৮ বছর ৩ মাস সময় লাগে। এই ভিত্তিটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে এর উপর রিটার্ন সেই অর্থ দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই কারণেই পরবর্তী ৫০ লাখ টাকা মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে জমা হতে পারে। এর অর্থ হল শুরুতে টাকা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। পরে, এটি ত্বরান্বিত হয়। শেষ পর্যন্ত, তহবিলের বৃদ্ধির হার বেশ দ্রুত হয়ে ওঠে।
তবে হ্যাঁ, এক্ষেত্রে ধৈর্যই আসল কথা, ওটাই একটি বৃহৎ তহবিল তৈরির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, যত তাড়াতাড়ি কেউ বিনিয়োগ শুরু করবেন, সেই তহবিল বৃদ্ধি পেতে তত কম সময় লাগবে।