আইটি রিটার্নের তথ্যে কোনও অসঙ্গতি পেলে করদাতাকে নোটিস পাঠায় আয়কর বিভাগ। এর মধ্যে অসম্পূর্ণ রিটার্ন দাখিল, ভুল ফাইল, ভুল ট্যাক্স রিফান্ড দাবি নোটিস পাঠানোর অন্যতম কারণ।
এ রকম নোটিস এলে ভয় পেয়ে যান করদাতারা। ট্যাক্স২উইন-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিএ ভার্টিকা কেডিয়া আশ্বস্ত করে বলছেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। এমন নোটিস পাঠানোর মানে এই নয় যে করদাতা কোনও অন্যায় করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সুবর্ণ সুযোগ; স্টেট ব্যাঙ্কের এই FD স্কিমে টাকা রাখুন, আর রিটার্ন হিসেবে পেয়ে যান দ্বিগুণ লাভ
তাঁর কথায়, ‘সাধারণ ভুল-সহ বিভিন্ন কারণে উদ্ভূত ত্রুটি বা অসঙ্গতি পর্যালোচনা করতেই এই নোটিস পাঠানো হয়’। আয়কর বিভাগের তরফে বিভিন্ন ধরনের নোটিস পাঠানো হয়। সেগুলো সম্পর্কে জানাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা নোটিস নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। তার প্রতিক্রিয়াও স্বতন্ত্র হওয়া উচিত।
১৪৩(১)-এর অধীনে আয়কর বিজ্ঞপ্তি: ১৪৩(১)-এর অধীনে ‘ইনটিমেশন’ হল আয়কর বিভাগের তরফে সাধারণ যোগাযোগ। এর মাধ্যমে করদাতাকে রিটার্নের প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রদান করা হয়। কোনও গাণিতিক ত্রুটি বা ট্যাক্স রিটার্নে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সম্পর্কে জানানো হয়।
কী করা উচিত – এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ধারা ১৪৩(১) নোটিশের অধীনে ট্যাক্স রিফান্ড, বকেয়া ট্যাক্স বা সুদের অর্থপ্রদান বিষয়ে জানাতে হবে।
১৪২(১)-এর অধীনে আয়কর বিজ্ঞপ্তি: ১৪২(১)-এর অধীনে আয়কর নোটিস পাঠিয়ে ট্যাক্স রিটার্ন সম্পর্কিত অতিরিক্ত নথি, তথ্য বা ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এটা মূল্যায়ন প্রক্রিয়ারই অংশ। প্রায়ই জারি করা হয়। করদাতার আর্থিক বিষয়ে আরও স্পষ্ট ভাবে জানাই এর উদ্দেশ্য।
কী করা উচিত – ধারা ১৪২(১)-এর অধীনে আসা নোটিসের যথাযথ জবাব দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে করদাতা যে রিটার্ন দাখিল করেছেন তার প্রাসঙ্গিক বিবরণ ও প্রমান দিতে হয়।
১৩৯(৯)-এর অধীনে আয়কর বিজ্ঞপ্তি: করদাতার দাখিল করা রিটার্নে অসঙ্গতি বা সমস্যা থাকলে ধারা ১৩৯(৯)-এর অধীনে আয়কর নোটিস জারি করা হয়। এটা ‘ত্রুটিপূর্ণ আয়কর রিটার্ন’ নামে পরিচিত। দেওয়া তথ্যে কোনও ভুল বা অসঙ্গতি থাকলে এই নোটিস পাঠানো হয়।
কী করা উচিত – নোটিসে করদাতাকে ভুল সংশোধনের জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। মূল্যায়নের আগে অতিরিক্ত বিবরণ প্রদান করতে হয়। সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা, সমস্যাগুলির সনাক্তকরণ এবং প্রাসঙ্গিক নথির সঙ্গে সঠিক প্রতিক্রিয়া এই ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক।
১৪৩(২)-এর অধীনে আয়কর নোটিস: করদাতার রিটার্নের ব্যাপক পর্যালোচনার জন্য ধারা ১৪৩(২)-এর অধীনে আয়কর নোটিস জারি করা হয়। এর মাধ্যমে অতিরিক্ত নথি এবং ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কর কম দেওয়া হলে, অত্যধিক ক্ষতি দাবি করলে, করদাতার আয় বুঝতে এই নোটিস পাঠানো হয়।
কী করা উচিত – ন্যায্য নথি দেওয়া উচিত।