বছর ১৫ আগে নীতুর যাত্রা শুরু হয়েছিল। সে সময় তিনি মাত্র পাঁচটি গরু নিয়ে শুরু করেছিলেন একটি দুগ্ধ খামার। ১৫ বছরে তাঁর দুগ্ধ খামারের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে। এখন নীতুর খামারে রয়েছে শতাধিক গরু। গরুর দুধ বিক্রি করে মাসে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি।
নীতু জানিয়েছেন, হরিয়ানা সরকার তাঁকে বহুবার সম্মানিত করেছে। তিনি কোচিনে কৃষিমন্ত্রী কে ভাই রাজুর কাছ থেকে সেরা মহিলার পুরস্কার পেয়েছিলেন ২০১৮ সালে। পরের বছর ২০১৯ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার তাঁকে কৃষি রত্ন সম্মান এবং এক লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কারে সম্মানিত করেন। ২০২২ সালে তাঁর গরু ভিওয়ানি পশু সম্পদ প্রদর্শনীতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেখান থেকেও হরিয়ানা সরকারের তরফে আড়াই লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার পেয়েছেন নিতু।
advertisement
শুধু পুরস্কার প্রাপ্তি নয়, হরিয়ানা সরকার পশুপালনের জন্য নাগরিকদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকেন বলে জানান নীতু যাদব। হরিয়ানা সরকার গরু পালনকারীদের সুদ মুক্ত ঋণও দিয়ে থাকে। যাতে কৃষক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে সহজ কিস্তিতে তা মেটাতে পারেন। হরিয়ানা সরকারের কাছ থেকে বীর্যের অনুদান পাওয়া যায়। বাজারে যেখানে ১৫০০ টাকায় বীর্য মেলে সেখানে হরিয়ানা সরকারের কাছ থেকে অনুদানে তা মাত্র ২০০ টাকায় পাওয়া যায়। এথেকে একটি বাছুরের জন্ম হয়।
কিন্তু কিছু সমস্যাও রয়েছে। নীতু জানান, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কুইন্টাল দুধ বিক্রি করতে পারেন তিনি। মাসের শেষে রোজগারের অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকায়। হরিয়ানা সরকারের কাছে দুধের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি কেজি গম ১৪ টাকা হারে কিনতে হয়। অন্য শস্যের দামও বেড়ে চলেছে ক্রমাগত। দুধের দাম ৫০ টাকা নির্ধারণ করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
এর বাইরে বিমা সমস্যার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নীতু। তিনি বলেন, একটি পারিবারে মাত্র পাঁচটি পশুর বিমা করা হয়। কিন্তু একজন কৃষক প্রচুর সংখ্যক পশুপালন করেন। তাই তাঁকে সেই পশুদের বিমা করাতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। পশু মারা গেলে বিমা সংস্থাগুলি দাবি পরিশোধ করতে অনেকটা সময়ও নিয়ে নেয়, এতে আখেরে ক্ষতি হয় কৃষকের। এসব দিকে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন নীতু।