অনলাইন বা অফলাইনে ডেবিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করলে সেই পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট হয়ে যাবে। কোথায় কত খরচ হল তা এসএমএস বা ই-মেলে চলে আসবে। এতে খরচের ট্র্যাক রাখারও সুবিধা। অবশ্য এই সতর্কতাগুলো কার্ড বা ইস্যু করা ব্যাঙ্কের দেওয়া পরিষেবার উপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: রেলের কর্মীদের জন্য ধামাকা! বেতনে বাম্পার বৃদ্ধি, Promotion-ও সহজেই
advertisement
অন্য দিকে, ক্রেডিট কার্ড সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতিতে কাজ করে। এটা ঋণ পাওয়ার মতো ব্যাপার। ধরা যাক এই মাসে কিছু কিনতে বা খরচ করতে হবে কিন্তু হাতে বা অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা নেই। এখানে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া যায়। পরের মাসে ক্রেডিট কার্ড সেই টাকার বিল পাঠাবে। তখন পকেট থেকে মেটাতে হবে। সময় মতো ক্রেডিট কার্ডের বিল না মেটালে মোটা টাকা সুদ দিতে হয়। টাকা মেটাতে দেরি হলে জরিমানাও হতে পারে। এতে ক্রেডিট স্কোরও খারাপ হয়।
ডেবিট কার্ড গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকে। অন্য দিকে, ক্রেডিট কার্ড সেই ব্যাঙ্কের সঙ্গে লিঙ্ক করা হয় যে এই কার্ড ইস্যু করেছে। ফলে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করলে ব্যাঙ্ক গ্রাহকের হয়ে অর্থ মেটায়। ফলে যখন বিল তৈরি হয় তখন ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার সেই ব্যাঙ্কের কাছে ঋণী থাকেন।
আরও পড়ুন: LPG সিলিন্ডার নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত Modi সরকারের! সরাসরি উপকৃত লক্ষ গ্রাহক
অধিকাংশ ব্যবহারকারী মনে করেন, ডেবিট কার্ড বেশি সুবিধাজনক এবং কম চাপের। কারণ এটি সামর্থ্যের মধ্যে খরচ করার স্বাধীনতা দেয়। এর কোনও সুদ দিতেও হয় না। অতিরিক্ত খরচের বালাই নেই। মাথার উপর ঋণের বোঝাও চাপে না। অন্য দিকে, ক্রেডিট কার্ডের লোভনীয় ব্যবহার বিপদ ডেকে আনতে পারে। মগদ অর্থের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয় করা যায়। কিন্তু সমস্যা হল শেষ পর্যন্ত ঋণ বা সুদের বোঝার নিচে পড়তে হয়।
আর যদি নিরাপত্তার কথা ওঠে, সেখানেও অধিকাংশ মানুষের মত, ক্রেডিট কার্ডের চেয়ে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা বেশি নিরাপদ। এটা ঠিক যে ক্রেডিট কার্ড জরুরি সময়ে খুব কাজে আসে। হাতে যখন নগদ থাকে না অর্থাৎ ফ্লাইটের টিকিট, চিকিৎসার খরচ বা হঠাৎ টাকার দরকার হলে ক্রেডিট কার্ডই ভরসা যোগায়। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যয় এবং ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।