পার্সোনাল লোন কী
পার্সোনাল লোন হল একটি অসুরক্ষিত ঋণ, যার অর্থ এর জন্য কোনও জামানত প্রয়োজন হয় না। এই ঋণ আয় এবং ক্রেডিট স্কোরের উপর ভিত্তি করে পাওয়া যায়। পার্সোনাল লোন ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসি থেকে পাওয়া যায়। এতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়, যা প্রতি মাসে ইএমআইতে ফেরত দেওয়া হয়। সুদের হার সাধারণত বার্ষিক ১০% থেকে ২৪% পর্যন্ত হয়। ঋণের মেয়াদ ১ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হয়। এই ঋণ বিবাহ, কলেজ ফি বা চিকিৎসা ব্যয়ের মতো প্রধান প্রয়োজনের জন্য আদর্শ। এর সুবিধা হল সুদের হার ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তবে, অনুমোদন এবং হাতে আসতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: আরও বেড়ে গেল সোনার দাম ! আজ ১ গ্রাম সোনার দাম চমকে দেবে
ক্রেডিট কার্ড কীভাবে কাজ করে?
ক্রেডিট কার্ড নিজেদের সীমা পর্যন্ত খরচ করতে দেয়। যদি কেউ ২০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ পরিশোধ করে, তাহলে কোনও সুদ নেই। তবে, যদি পেমেন্ট বিলম্বিত হয়, তাহলে বার্ষিক সুদের হার ৩০% থেকে ৪২% পর্যন্ত হতে পারে। ছোট, স্বল্পমেয়াদী খরচ বা জরুরি প্রয়োজনের জন্য ক্রেডিট কার্ড আদর্শ। এগুলি ক্যাশব্যাক, রিওয়ার্ড পয়েন্ট এবং বিমা সুবিধার মতো সুবিধাও প্রদান করে।
কোন বিকল্পটি কখন বেছে নেওয়া যেতে পারে
যদি খরচ ৫০,০০০ টাকার বেশি হয়, তাহলে পার্সোনাল লোন নিতে হবে। যদি দীর্ঘ সময় ধরে পরিশোধ করতে হয়, তাহলে EMI-এর উপর ভিত্তি করে বাজেট করা যেতে পারে। যদি খরচ কম হয় এবং সময়মতো বিল পরিশোধ করা যেতে পারে, তাহলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: ধনতেরসে সোনার দাম কত হতে পারে ? জেনে নিন
সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে:
তহবিলের প্রয়োজন কতটা জরুরি? ক্রেডিট কার্ড তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করে, যখন ব্যক্তিগত ঋণ কয়েক দিন সময় নেয়।
পরিশোধের ক্ষমতা: সময়মতো পেমেন্ট করতে ব্যর্থ হলে সুদ এবং ক্রেডিট স্কোর উভয়কেই প্রভাবিত করে।
খরচের তুলনা: উভয় বিকল্পের জন্য সুদের হার, প্রসেসিং ফি এবং অন্যান্য চার্জ পরীক্ষা করতে হবে।
ক্রেডিট স্কোরের উপর প্রভাব: উভয়ের সঠিক ব্যবহার ক্রেডিট স্কোর বাড়াতে পারে, কিন্তু ঋণ খেলাপি হলে ক্ষতি হতে পারে।