আরও পড়ুনঃ এই চাষ শুরু করে আপনিও আয় করতে পারবেন লক্ষ লক্ষ টাকা!
ধরা যাক, ৬৪ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কোনও বেসরকারি সংস্থায় দুই দফায় কুড়ি বছর কাজ করেছেন। ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় এবং ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায়। এখন কোম্পানি দ্বিতীয় মেয়াদের গ্র্যাচুইটি দিলেও প্রথম দফার গ্র্যাচুইটি দিচ্ছে না। এই অবস্থায় ওই কর্মী কী কী পদক্ষেপ করতে পারেন?
advertisement
এর উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট ১৯৭২-এর আওতায় কর্মীকে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। এই আইনের অধীনে গ্র্যাচুইটি একজন কর্মীর বিধিবদ্ধ অধিকার। আইনের ধারা ৪(৬)-এ উল্লিখিত পরিস্থিতি ছাড়া কোম্পানি কর্মীর গ্র্যাচুইটি আটকে রাখতে পারে না। আইনের ধারা ৪ অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মেয়াদে কাজের জন্য কোম্পানি ওই কর্মীকে গ্র্যাচুইটি দিতে বাধ্য। যেহেতু তিনি ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চাকরি করেছেন, অর্থাৎ পাঁচ বছরের বেশি।
২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চাকরিকে পুনঃনিযুক্তি হিসেবে দেখা হবে। তাই ওই কর্মী ২০১২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত চাকরির জন্য গ্র্যাচুইটির পাশাপাশি ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মেয়াদে চাকরি করার জন্য আলাদাভাবে গ্র্যাচুইটি পাবেন।
কোম্পানি গ্র্যাচুইটি দিতে অস্বীকার করলে, না দেওয়া টাকার পরিমাণের উপর ১০ শতাংশ সুদ সহ চাকরির সমস্ত নথিপত্র সমেত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিস পাঠাতে পারেন। এছাড়া গ্রাচুইটি পুনরুদ্ধারের জন্য ধারা ৮-এর অধীনে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞপ্তি দ্বারা নির্ধারিত কন্ট্রোলিং কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করতে হবে। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ নথিপত্র যাচাইয়ের পর নিয়োগকর্তার কাছ থেকে গ্র্যাচুইটির পরিমাণ পুনরুদ্ধারের জন্য কালেক্টরের কাছে শংসাপত্র জারি করবে।