স্কুলে পড়তে পড়তে ব্যবসা শুরু করার আইডিয়া কিন্তু লাভজনক হতে পারে। হাতখরচের টাকা তো উঠে আসবেই, গ্যাজুয়েশন বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের খরচের জন্যও মা-বাবার কাছে হাত পাততে হবে না। শুধু তাই নয়, পরিবারকে সাহায্য করাও হবে। কিন্তু কথা হল, এত কম বয়স, কী-ই বা অভিজ্ঞতা! এই বয়সে কী ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে? এখানে দেওয়া হল তেমনই কিছু ব্যবসার সুলুকসন্ধান।
advertisement
হাতে তৈরি জিনিস: উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর হাতে অফুরন্ত সময়। সেটাকে কাজে কাগিয়ে হোমমেড প্রোডাক্ট তৈরি করা যায়। কারও যদি শৈল্পিক মনন থাকে তাহলে তো কথাই নেই। গয়না থেকে সাবান, কাগজের ব্যাগ সব কিছুই হতে পারে। বাড়িতে রান্না করা খাবারও। হোম ডেলিভারি করা যায়। কিংবা অনলাইনে বা বাজারে বিক্রি। হাতের কাজ ভাল হলে ব্যবসা জমে উঠতে সময় লাগবে না।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কী ভয়ঙ্কর দিন আসতে চলেছে দেশে! বিরাট উদ্বেগের রিপোর্ট
ইউটিউব রিভিউ: এই মুহূর্তে ইউটিউবের মতো বড় বাজার আর নেই। আর টেক স্যাভি বর্তমান প্রজন্ম সেটা ভাল করেই জানে। ইউটিউবের সঙ্গে তারা যথেষ্ট সড়গড়। এটা থেকেই অর্থ উপার্জন করা যায়। সেটা ভিডিও তৈরি থেকে রিভিউ হতে পারে। ডেমো বা আনবক্সিং আপলোডও ইদানীং ব্যাপক জনপ্রিয়। কে বলতে পারে এখান থেকেই কেউ হয়ে উঠতে পারে আগামী দিনের ক্যারি মিনাটি।
টিউশন: স্কুলে পড়তে পড়তেই অনেকে চুটিয়ে টিউশন করেন। এটাকেই একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। খোলা যায় অনলাইন কোচিং ক্লাস। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়াতে হবে না। অনলাইনেই শুরু করা যাবে। আর মেধাবী হলে তো কথাই নেই। ভার্চুয়াল টাইম স্লট, স্টাডি নোট বিক্রি করে কিন্তু মোটা টাকা উপার্জন করা যায়।
আরও পড়ুন: চাকরি গেলেও চিন্তা কী? পুঁজি ছাড়াই শুরু করা যায় এই ৬ ব্যবসা!
সোশ্যল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার: আজকের দিনে সব কিছুই সোশ্যাল মিডিয়ায়। বর্তমান প্রজন্ম তো এখানেই বাঁচে। ইনস্টাগ্রামে ফটো, ভিডিও আপলোড কিংবা টিকটক ভিডিও তৈরি, তার কাছে বাঁ হাতের খেলা। পছন্দসই তো বটেই। এটাকেই ব্র্যান্ড করে প্রচার করতে হবে। তাহলেই হয়ে ওঠা যাবে সোশ্যল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। আর হ্যাঁ, এভাবে কিন্তু কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছেন অনেকেই!