যদিও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এজেন্সির কথা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই শিল্প সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বিনিয়োগকারীদের সামনে রাজ্যের বদলে যাওয়া শিল্প পরিস্থিতি, উন্নত পরিকাঠামো ও কর্মসংস্কৃতির দিকগুলি তুলে ধরতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় ৷ তৃতীয় বার রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার তাঁর লক্ষ্য শিল্প ও কর্মসংস্থান ৷ রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়াতে ও বাংলাকে শিল্প মানচিত্রে তুলে ধরতে তাই এই বাণিজ্য সম্মেলনকেই পাখির চোখ করছে রাজ্য প্রশাসন ৷ সেক্ষেত্রে রাজ্যে আগত শিল্পপতিদের যাতে কোন ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে না হয়, সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ''দু বছর পরে এই বিজনেস সামিট করেছি। আমরা রাজ্য হিসাবে প্রথম এটি করছি। অতিমারী অধ্যায়ের পরে এই সামিট হচ্ছে। আমরা এই বছর সামিটে দারুণ সাফল্য পাব আশা করি। বাংলায় পরিকাঠামোর উন্নয়ন করেছি। শিক্ষার অধিকার। সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমাদের নির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধি ৩৮%। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাধ্যমে আমরা মহিলাদের সাহায্য করি। সামাজিক পরিকাঠামোয় আমাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে৷ সোশ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে আমরা কাজ করছি।''
আরও পড়ুন: বাংলার বিপুল প্রশংসা শিল্পপতিদের, টাটাদের বড় ঘোষণা! বিরাট বিনিয়োগ সম্ভাবনা
বাংলায় চারটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠছে তাজপুর বন্দর, ইস্টার্ন ফ্রেট করিডর, জঙ্গলমহল সুন্দরী কর্মনগরী, দুটো গ্যাস পাইপ লাইন। ২০২৩ সালে ন্যাশনাল গ্যাস গ্রীডে রাজ্য জুড়ে যাবে। দেউচা পাচামিতে যে কয়লা পাওয়া গেছে, তা উত্তোলনের কাজ শুরু হলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।
আরও পড়ুন: 'বাংলার সব আশা পূরণ করব', বড় ঘোষণা গৌতম আদানির! বিপুল বিনিয়োগ, চাকরি
বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি যেখানে আইটি সংস্থা আসছে৷ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল গ্রোথ করিডর ডানকুনি থেকে কল্যাণী, হলদিয়া ও রঘুনাথপুর। অশোকনগরে ওএনজিসি তেল উত্তোলন করছে।'' আশা ব্যক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''আমি বলছি, বাংলা শিল্পে এক নম্বর হবে। সব সাহায্য করা হবে। প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। জমির সমস্যা হবে না। বিদ্যুৎ এখানে যথাযথ রয়েছে৷''