২০১৭-১৮ সালে অর্থাৎ করোনা আবির্ভাবের ২ বছর আগে অশোক লেল্যান্ড ১৩০,০০০ ইউনিট এমএইচসিভি বিক্রি করেছিল। ২০২৩ অর্থবর্ষে এই বিক্রির পরিমাণ ১১৫,০০০ ইউনিট। অশোক লেল্যান্ডের এমএইচসিভি-এর প্রধান সঞ্জীব কুমার বলছেন, ‘‘এই বছর বিক্রিবাটায় আমরা ফের সর্বোচ্চ শিখর ছোঁয়ার আশা করছি।’’ নতুন গাড়ি লঞ্চ এবং নেটওয়ার্ক সংযোজন এই বৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি। ২০২৪ অর্থবর্ষে বাস ও ট্রাক বিভাগে ১৫ থেকে ১৬টি লঞ্চের পরিকল্পনা করেছে কোম্পানি, যা ২০২৩ অর্থবর্ষে ২৩টি ছিল।
advertisement
লক্ষ্য ছুঁতে ইতিমধ্যেই চোলমণ্ডলম ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ করেছে অশোক লেল্যান্ড। দেশ জুড়ে ১৩০টি ডিলারশিপ দেওয়াই এই জোটের মূল লক্ষ্য। যাতে বিক্রেতারা কার্যকরী মূলধনের প্রয়োজনীয়তাগুলির মোকাবিলা করতে পারে। অশোক লেল্যান্ডের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মউ স্বাক্ষরের ফলে অশোক লেল্যান্ডের ডিলারদের টাকার ঘাটতি মিটবে। পাশাপাশি, চোলমণ্ডলম সারা দেশে তার আর্থিক পণ্যগুলি অফার করবে’। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, অশোক লেল্যান্ডের ডিলারশিপ গ্রাহকদের জন্য অপরিহার্য টাচপয়েন্ট, যা বিক্রয় এবং বিক্রয় পরবর্তী সহায়তার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম অভিজ্ঞতা প্রদানে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
অন্য দিকে, ব্যবসায়িক বৃদ্ধির প্রসঙ্গে এমএইচসিভি-এর প্রধান সঞ্জীব কুমার বলছেন, ‘‘২৩ অর্থবর্ষে এমএইচসিভি শিল্প ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে অশোক লেল্যান্ডের বৃদ্ধি ছিল ৭৮ শতাংশ। তাঁর মতে, এমএইচসিভি শিল্প এই বছর সর্বকালের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছনোর খুব কাছাকাছি ছিল। আশা করা হচ্ছে, এই বছরই আরও ৮ থেকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। অশোক লেল্যান্ড এমএইচসিভি বৃদ্ধির জন্য পূর্ব ও উত্তর ভারতে বাজি ধরেছে। উত্তর ভারত এমএইচসিভি-র সবচেয়ে বড় বাজার এবং তা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।’’ পাশাপাশি সঞ্জীব যোগ করেন, ‘‘ক্রমবর্ধমান পরিকাঠামো উন্নয়নের কারণে পূর্ব ভারতও ‘খুব আকর্ষণীয়’ গন্তব্য হয়ে উঠছে।’’
গত বছর পূর্ব ভারতে ৩ শতাংশ বাজার শেয়ার অর্জন করেছে অশোক লেল্যান্ড। আর সারা ভারতে কোম্পানির বাজার শেয়ারে লাভ ছিল ৫ শতাংশ। সঞ্জীবের কথায়, ‘‘শিল্পের পক্ষে একাধিক নীতি নির্ধারণ করেছে সরকার। পরিকাঠামো খাতেও প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে।’’ ২০২৪ অর্থবর্ষে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার মূলধন নির্ধারণ করেছে অশোক লেল্যান্ড। চলতি অর্থবর্ষে মূলত বিকল্প জ্বালানি প্রযুক্তি এবং ডিবটলনেকিংয়ে বিনিয়োগ করতে চায় তারা।