এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে সাধারণ বাজরার মাথার দিকটা বড়জোর ১ ফুট হয়, কাণ্ডটা হয় ৬-৭ ফুট। কিন্তু দীনেশ তাঁর ক্ষেতে যে বাজরার চাষ করেন, তার মাথার দিকটা ৪ থেকে ৫ ফুট লম্বা, কাণ্ডের দৈর্ঘ্য ৮ থেকে ১০ ফুট। আর এমন কাণ্ড দেখেই দীনেশের বাজরা রাতারাতি তাঁর জেলায়, তাঁর রাজ্যে তো বটেই, আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশেও।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এসি বন্ধ করার পরেও চড়চড়িয়ে বিল বাড়ছে? ১ সেকেন্ডের ‘এই’ কাজ! বিল হবে অর্ধেক
দীনেশ জানিয়েছেন যে সাদা গোল্ড নামে পরিচিত এই বাজরার বীজ তিনি তুরস্ক থেকে আনিয়েছিলেন এক বন্ধুর পরামর্শে, কেন না এর জাত উচ্চ ফলনশীল। সেই সময়ে এর দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫০০ টাকা। ২০ কেজি বীজ কিনতে তাঁর হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা, যা তিনি নিজের ৪ একর জমিতে বপন করেন।
আরও পড়ুনঃ তাপে পুড়ে ছারখার বাংলা, আচমকা আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি
এই পর্যন্ত সব কিছু ঠিক থাকলেও প্রকৃতি যে মুচকি হেসেছেন, তার আঁচ আগে পাওয়া যায়নি। প্রবল বৃষ্টিপাতে বেশিরভাগ বীজই নষ্ট হয়ে যায়। প্রথমটায় মুষড়ে পড়লেও দীনেশ তখনও বুঝে উঠতে পারেননি যে লক্ষ্মী আসন পাততে চলেছেন তাঁর ঘরে। যে দুই একর জমির বীজ বেঁচে ছিল, তা থেকেই ফলন হয়েছে ৮০ মন্ড, বিক্রি করে লাখেরও উপরে টাকা ঘরে এনেছেন দীনেশ।
ব্যতিক্রমী এই কৃষিকাজ উৎসাহিত করেছে দেশের নানা প্রান্তের কৃষককে। তাঁরা দীনেশের কাছ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে এর বীজ কিনছেন বলে জানা গিয়েছে।