বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার এক কৃষকের জীবনেও ঘটেছে এমনই ঘটনা। সেখানকার তুরকাউলিয়া ব্লকের মথুরাপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমওয়া গ্রামের বাসিন্দা বিজয় কুমার ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদের বাইরে ধুঁধুল চাষ করেই প্রচুর লাভ করছেন।
ওই কৃষক জানান, গত এপ্রিল মাসে ধুঁধুলের বীজ বুনেছিলেন। জুলাই মাসে ফলন উপচে পড়ছে। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর উৎপাদন অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন বিজয় কুমার।
advertisement
তবে শুধু ধুঁধুল নয়। বিজয় কুমার তাঁর জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে আরও নানা ধরনের সবজি চাষ করেন। এর আগে তিনি বিহারের মাটিতে স্ট্রবেরি চাষ করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন।
তিন-চার দিন অন্তর ২ কুইন্টাল ফসল—
ধুঁধুল চাষে ব্যাপক লাভ তা বোঝা যায় এই ফসলের উৎপাদন থেকে। বিজয় জানান, যে জমিতে তিনি ধুঁধুল চাষ করেছেন, সেই জমিতেই এর আগে তিনি স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন। স্ট্রবেরি মরশুম শেষ হওয়ার পর একই জমিতে ধুঁধুল রোপণ করেন।
তাই ধুঁধুলের বীজ বপন করতে তাঁর খরচ হয়েছে মাত্র ১২০০ টাকা। তবে নতুন চাষিরা যদি প্রথমবার ধুঁধুলবীজ বপন করতে চান, তাহলে খরচ একটু বেশি পড়বে, তারণ ‘বেড’ বানাতে হবে নতুন করে। এবার ধুঁধুলের উৎপাদন ভাল হচ্ছে বলেই জানান বিজয়। এই কারণে প্রতি তিন-চার দিনের মধ্যেই দেড় থেকে দুই কুইন্টাল ফসল পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতি মাসে খরচ ১০০০ টাকা—
বিজয় কুমার বলেন, এই সবজি চাষের সময় অল্প পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। ভার্মি কম্পোস্ট সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই জন্য এই চাষে প্রতি মাসে তাঁর খরচ হয় ১০০০ টাকা। তবে লাভের কথা উঠলেই বোঝা যায় ওই খরচ তিনি কী ভাবে পুষিয়ে নেন। বিজয় মরশুমের শুরুতে প্রতি কুইন্টাল দু’হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে ফসল বেচেছিলেন।
এখন অবশ্য দাম খানিকটা পড়ে গিয়েছে। তাও এখন বাজারে ধুঁধুলের দর প্রতি কুইন্টাল ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে। বিজয় জানান, ফসল বিক্রি করতে বেশি দূর যেতেও হয় না। স্থানীয় বাজারেই বিক্রি করেন। তাই পরিবহণ খরচও সামান্য লাগে। আবার অনেক সময় ব্যবসায়ীরা সরাসরি তাঁর খেত থেকেও সবজি কিনে নিয়ে যান।