বিহারের সীতামারী জেলার ওই তরুণ কৃষক জমিতে বাঁশ গাছ লাগানোর পর ভাল রোজগার করতে শুরু করেছেন। বাঁশ চাষের জন্য তাঁর খরচ হয়নি এক টাকাও।
জানা গিয়েছে সীতামারী জেলার বারাহি গ্রামের বাসিন্দা বছর পঁচিশের সোনু কুমার এখন এলাকায় বেশ আলোচিত নাম। নিজের দুই বিঘা জমিতে শুধুমাত্র বাঁশ চাষ করেছেন তিনি। সোনুর বাবা মোহন কুমার সারা জীবন তিনি ধান, গম চাষ করেছেন। পাশাপাশি চলে আম, লিচুর চাষও। ভিন্ন পথে হাঁটতে শুরু করেছেন সোনু।
advertisement
সোনু জানালেন, তাঁদের পরিবারে খুব বেশি জমি নেই। ঐতিহ্যবাহী কৃষিতে তেমন লাভের মুখ দেখেননি তাঁরা কোনদিনই। তাই ভিন্ন কিছু করার কথা ভাবছিলেন। তাই আম ও লিচুর বাগান করার পর বাকি দুই বিঘা জমিতে শুধু বাঁশ চাষ শুরু করেন তিনি।
সোনু কুমার প্রথমে চাননি কৃষিকে জীবিকা হিসেবে বেছে নিতে। তিনি বি.এড করছেন। দিল্লিতে কাজ করতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়েই তাঁর মনে হয় এভাবে চাকরি করে রোজগার করে আদতে কোনও লাভ নেই। বছরের শেষে যেটুকু সঞ্চয় হচ্ছে তা দিয়ে জীবন চলে না। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন গ্রামে ফিরে আসার। তারপর তিনি তাঁর সাড়ে চার বিঘা জমিতে নতুন ভাবে চাষাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন: বিপ্লবীদের আখড়া ছিল পূর্ব বর্ধমানের এই আশ্রম, এসেছেন বহু বিপ্লবী, জানুন এর কাহিনি
সোনু বলেন, ‘বাঁশ লাগাতে খুব একটা পরিশ্রম নেই। এতে সার বা জলসেচের প্রয়োজন হয় না। জমি উঁচু করে নিলেই হয়। বাঁশের গোড়ায় গোবর সার দিলেই গাছের বৃদ্ধি ভাল হয়।’
এদিকে বাজারে বাঁশের দাম ভাল। সোনু জানান, দুই-চারটি বাঁশ কিনলে প্রতিটির দাম পড়ে ২০০ টাকা। ব্যবসায়ীদের অবশ্য প্রতিটি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এক বছরে তিনি প্রায় এক হাজার বাঁশ বিক্রি করেন। যার দাম প্রায় ২ লক্ষ টাকা। ঝাড় বড় হলে ব্যবসা আরও বাড়তে পারে।
ছোট বড় নানা কাজে বাঁশ লাগে, তা সে মণ্ডপ তৈরি হোক বা ঝুড়ি বানানো। এমনকী আজকাল বাঁশের গয়না থেকে আসবাবপত্রও জনপ্রিয়। স্যুপ তৈরিতেও বাঁশের অংশ লাগে।