তবে খোলসা করেই বলা যাক! পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা নদী। নদী তীরবর্তী এলাকায় বড়াগ্রামের এক চাষি ধানের জমিতে শঙ্কর প্রজাতির ঝিঙে চাষ করছেন। সামান্য পরিচর্যা, খরচও সামান্য। কিন্তু লাভ হাজার-হাজার!
নদী তীরবর্তী এলাকার উর্বর জমিতে চাষি রোপণ করেছেন হাইব্রিড ঝিঙে। সার, ওষুধ, লাঙল এবং মজুর বাবদ তার সর্বমোট এক মরশুমে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকার মতো। গাছের বীজ কিনতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টাকা মতো। সর্বমোট একটা মরশুমে তিনি সবজি বিক্রি করে পেয়েছেন ২৫ হাজার টাকারও বেশি।
advertisement
নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে এই বীজ বপন করতে হয়। তার ঠিক দেড় মাস পর অর্থাৎ জানুয়ারির প্রথম দিক থেকে মেলে ফলন। বাজারে এই ঝিঙের দাম দাম কেজি প্রতি ৩০ টাকারও বেশি। তিন মাস ধরে মিলবে ফলন। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ওড়িশা, মেদিনীপুরে বিক্রি করে মিলছে লাভ।
বড়াগ্রামের বাসিন্দা ভবতোষ প্রধান এবং সর্বেশ্বর দণ্ডপাট এই চাষ করছেন। প্রথম বছর কিছুটা কম চাষ করলেও এ’বছর চাষের পরিধি বাড়িয়েছেন। এই বিকল্প চাষের মাধ্যমে অন্যান্য কৃষক ও যুব প্রজন্ম স্বনির্ভর হওয়ার অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন।
রঞ্জন চন্দ