তরুণ কৃষক মঞ্চুন কুমার জানিয়েছেন, এতদিন তাঁরা মাঠে কঠোর পরিশ্রম করে পুরনো নিয়মেই কৃষিকাজ করতেন। কিন্তু তাতে লাভজনক আর্থিক উপার্জন হয়নি। অনেক সময়ই চাষের খরচও মেটাতে পারতেন না তাঁরা। এমতাবস্থায় তাঁরা চাষাবাদ ও ফসল ফলানো দুটোই বদলে দিয়েছেন। এতে খরচের চেয়ে লাভ বেশি। এছাড়াও এতে খামারের সমস্ত পণ্যই বিক্রি হয়ে যায়। এখন তিনি কুমড়োর চাষ করছেন। মঞ্চুন এখন দৈনিক কুমড়ো বিক্রি করেন, যা ব্যবসায়ীরা খামার থেকেই কিনে নিয়ে যান। তিনি আরও জানান, তাঁর মোট খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এই বিনিয়োগে এই ফসল থেকে এক লক্ষ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
advertisement
কৃষক মঞ্চুন আরও জানান, কুমড়ো চাষে লাভও আছে। এই মরশুমি ফসল ব্যবসায়ীরা খামার থেকেই সব কিনে নেন। বর্তমানে তিনি এক একর জমিতে কুমড়োর আবাদ করেছেন। তাঁর মোট প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, যার মধ্যে ক্ষেত চাষ থেকে শুরু করে ফসল রোপণ সব রচই রয়েছে। অন্য দিকে, এর মধ্যে মুনাফাও হয়েছে এক লক্ষেরও বেশি। তাঁর ক্ষেতের তাজা কুমড়ো সমস্তিপুর, দারভাঙ্গা, জয়নগর, মধুবনী ইত্যাদি জেলায় যায়। তিনি রাসায়নিক ছাড়াই ফসল উৎপাদন করেন। এতে স্বাস্থ্য এবং স্বাদ দুটোই ঠিক থাকে।
আরও পড়ুন: দেশের গর্ব সৌরভ! আদিত্য এল১-এর প্রাপ্ত ডেটা নিয়ে গবেষণা করবেন গোরখপুরের ছেলে
মঞ্চুন জানিয়েছেন, কুমড়ো গাছ লাগানোর ৬৫ দিন পরই ফল ধরতে শুরু করে। প্রতি কুমড়ো ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়। মরশুম অনুযায়ী কুমড়োর দরও বাড়তে থাকে। বর্তমানে কুমড়োর দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এই গাছ দেড় মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই ফল দিতে শুরু করে। এই সময় প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ মণ কুমড়ো উৎপাদিত হয়।