TRENDING:

Papaya Farming: এক বিঘা পেঁপে থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয়, কৃষিবিজ্ঞানী জানালেন চাষের সঠিক উপায়!

Last Updated:

পেঁপে গাছ লাগানোর সময় কৃষকদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, চারার বয়স যেন ৩০ থেকে ৪৫ দিনের বেশি না হয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পেঁপের গুণাগুণ অনেক। পাকা হোক বা কাঁচা, পেঁপের চাহিদাও প্রচুর। তাই এই চাষে লাভও প্রচুর।
advertisement

বেগুসরাই ও সংলগ্ন এলাকায় এপ্রিল-মে মাস নাগাদ কৃষকরা পেঁপে চাষ শুরু করেন। এই সময় রোপিত ফসলে ভাইরাস ও ছত্রাকজনিত রোগ কম হয়। একবার লাগানো হলে অন্তত দু’বার ফল দেয় এই গাছ। পেঁপে চাষ করলেই লাভ।

অনেক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে পেঁপে। এই কারণে চিকিৎসকরা অনেক রোগে পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

advertisement

বেগুসরাই জেলার খোদাবন্দপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানী ও সহ-অধ্যক্ষ ড.রামপাল পেঁপে চাষের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানালেন বিস্তারিত। তিনি জানান, মাটির পিএইচ মান ৬ থেকে ৭ বা তার কম হওয়া জরুরি পেঁপে চাষের জন্য। একই সময়ে, ওই এলাকার তাপমাত্রাও ২১ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। পেঁপে গাছ লাগানোর সময় কৃষকদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, চারার বয়স যেন ৩০ থেকে ৪৫ দিনের বেশি না হয়।

advertisement

পেঁপে চাষে বিশেষ সতর্কতা—

ড. রামপাল বলেন, গরম আবহাওয়ায় আর্দ্রতা থাকলে এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় শুষ্ক অবস্থায় পেঁপে ফলন ভাল হয়। পেঁপে চাষের জন্য জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল থাকাও প্রয়োজন, যাতে মাটি থেকে জল বেরিয়ে যেতে পারে। পেঁপের খেতে ২৪ ঘণ্টার বেশি জল দাঁড়িয়ে থাকলে গাছ বাঁচানো মুশকিল হয়ে যেতে পারে। সেজন্য কৃষকদের উচিত উঁচু জমি বেছে নেওয়া। নার্সারিতে এই চাষ করতে গেলে উঁচু বেড প্রস্তুত করা দরকার। বারবার লাঙল দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে হবে। অন্য দিকে, পেঁপে চারা রোপণের আগে ১০ ফুট x ১০ ফুট x ১.০ ফুট পরিমাপের গর্ত খনন করে তা দিন ১৫ রাখতে হবে শুকোনোর জন্য।

advertisement

এর পর গর্তের অর্ধেকটি ১৫ দিন আগে খনন করা মাটির সঙ্গে ৫ গ্রাম কার্বোফুরান এবং ২৫-৩০ গ্রাম ডিএপি দিয়ে ভরাট করতে হবে। এর পর শিকড়-সহ গাছ বসিয়ে অবশিষ্ট মাটির অর্ধেক দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। রোপণের পরপরই হালকা সেচ দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিটি গাছের দূরত্ব ১৮×১৮ মিটার হওয়া উচিত।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মাটির রঙিন খেলনায় ছেয়ে গিয়েছে বাজার, চাহিদা তুঙ্গে! দাম কত জানেন?
আরও দেখুন

কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে বীজ সরবরাহ করা হয়। বুকিংয়ের ৩৫ দিনের মধ্যে বীজ দেওয়া হয়, সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণও। এক বিঘা চাষে ৬০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। এক মরশুমে ৪০ কেজি পর্যন্ত ফল মিলতে পারে। এক বিঘায় প্রায় ১১৫০টি গাছ লাগালে এক মরশুমে এক হেক্টর খেতে প্রায় ৪০০ কুইন্টাল পেঁপে উৎপাদন করা যায়। বাজারে এর দাম ২০-৩০ টাকা। অর্থাৎ, এক বিঘায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন কৃষক।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Papaya Farming: এক বিঘা পেঁপে থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয়, কৃষিবিজ্ঞানী জানালেন চাষের সঠিক উপায়!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল