TRENDING:

Agriculture News: সবেদার সুবিধা! বাগান করে আয় ৮ লক্ষ টাকা, পথ দেখাচ্ছেন রাজস্থানের কৃষক

Last Updated:

রাজস্থানের ভরতপুর জেলার ভুসাভার শহরের বাসিন্দা জগদীশ জানান, চার বছর আগে রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুর জেলা থেকে ৩০০ সবেদা চারা কিনেছিলেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে। আর সেই উন্নতির ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে মানুষের জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে। আধুনিক যুগে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন এসেছে। তার ফলে ভারতীয় কৃষকেরাও এখন ঐতিহ্যবাহী চাষের পাশাপাশি উদ্যান পালনে বিশেষ নজর দিচ্ছেন। সেই কারণে কম খরচে অধিক মুনাফা অর্জন করতেও পারছেন তাঁরা। শক্তিশালী হচ্ছে তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা।
সবেদার সুবিধা! বাগান করে আয় ৮ লক্ষ টাকা, পথ দেখাচ্ছেন রাজস্থানের কৃষক
সবেদার সুবিধা! বাগান করে আয় ৮ লক্ষ টাকা, পথ দেখাচ্ছেন রাজস্থানের কৃষক
advertisement

রাজস্থানের বাসিন্দা জগদীশ মীনা তেমনই এক কৃষক, যিনি উদ্যান পালন করে আয় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। রাজস্থানের ভরতপুর জেলার ভুসাভার শহরের বাসিন্দা জগদীশ জানান, চার বছর আগে রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুর জেলা থেকে ৩০০ সবেদা চারা কিনেছিলেন। সেই চারা দিয়েই নিজের তিন হেক্টর জমিতে বাগান করে চাষ শুরু করেন। এই উদ্যানে জগদীশ কোনও রকম রাসায়নিক সার ব্যবহার করেননি। পরিবর্তে নিজে তৈরি করে জৈব সার ব্যবহার করতে শুরু করেন।

advertisement

আরও পড়ুনঃ টাটা মোটরসের শেয়ার কিনে রাখুন, বিপুল লাভের ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

কয়েক বছরের মধ্যেই এই সব গাছ থেকে লাভ পেতে শুরু করেন। জৈব সারের ব্যবহার গাছের ভাল বৃদ্ধিতে যেমন সহায়ক হয়েছে, তেমনই ফলনও হয়েছে ব্যাপক। বাজারে এই ফলের চাহিদা ভাল। তাই দামও পাওয়া যাচ্ছে ভাল রকম। ফলে কৃষক কম খরচে ভাল লাভ করতে পারছেন। জগদীশের এই সাফল্য দেখে আশপাশ এলাকার মানুষও এই ধরনের চাষের ক্ষেত্রে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।

advertisement

কৃষক জগদীশ মীনা, বহু বছর ধরেই ঐতিহ্যবাহী চাষের পাশাপাশি উদ্যানপালন করে আসছেন। উদ্যানপালন থেকে কৃষক কীভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা পেতে পারেন, সে সম্পর্কে তাঁর ভাল অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই কথা মাথায় রেখেই চার বছর আগে রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুর জেলা থেকে ৩০০ সবেদা-র চারা কিনে তিন হেক্টর জমিতে উদ্যান চাষ শুরু করেন। এই চাষে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করা হত। সেই কারণে এই গাছগুলি অল্প সময়ে ভাল বেড়ে ওঠে। জৈব সার থেকে তৈরি এই ফসল বিক্রি করে যে পরিমাণ দাম পাওয়া যায়, রাসায়নিক সার দেওয়া ফসল তার থেকে অনেক কম দাম পাওয়া যায়।

advertisement

জগদীশের দাবি, তিন হেক্টর জমিতে রোপণ করা ৩০০টি গাছে বছরে প্রায় ২০ টন সবেদা ফল উৎপাদন হয়। এই চাষ থেকে তাঁর বার্ষিক আয় হয় ৮ লক্ষ টাকা। জৈব সার ব্যবহারের কারণে এই ফলন একেবারে স্বাস্থ্য সম্মত। তাই বড় ব্যবসায়ীরা সরাসরি পণ্য কিনছেন চাষির থেকে। তাই বাজারে অন্য সবেদার তুলনায় এর দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। লাভও হচ্ছে ভাল।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

শুধু রাজস্থান নয়। জগদীশ গোটা দেশেই একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ফেলেছেন। এরই মধ্যে তাঁর বাগান, তাঁর চাষের পদ্ধতি দেখতে মহারাষ্ট্র, আগ্রা, দিল্লি, হরিয়ানার কৃষকরাও এসেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই শুরু করেছেন চাষ। তাঁদেরও ভালই লাভ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Agriculture News: সবেদার সুবিধা! বাগান করে আয় ৮ লক্ষ টাকা, পথ দেখাচ্ছেন রাজস্থানের কৃষক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল