এই মর্মে সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ জেলা প্রশাসন, বালাঘাটের রাজা ভোজ এগ্রিকালচারাল কলেজ এবং ন্যাশনাল বি বোর্ডের তরফে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল রাজা ভোজ এগ্রিকালচারাল কলেজে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ৫০০-রও বেশি কৃষক অংশগ্রহণ করেছিলেন এই সভায়, শিখেছিলেন মধু চাষের নানা দিক। এখানেই শেষ নয়, ন্যাশনাল বি বোর্ডের পাশাপাশি ন্যাশনাল বিকিপিং অ্যান্ড হানি মিশন, সংক্ষেপে এনবিএইচএম-ও মধু চাষের প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এসি বন্ধ করার পরেও চড়চড়িয়ে বিল বাড়ছে? ১ সেকেন্ডের ‘এই’ কাজ! বিল হবে অর্ধেক
মধু চাষের নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠান ওয়াকিবহাল করে তুলছে দেশের কৃষকদের। এই প্রসঙ্গে ন্যাশনাল বি বোর্ডের তরফে লঞ্চ করা মধু ক্রান্তি পোর্টালের কথাও না বললেই নয়। এর মাধ্যমে কৃষকেরা শুধু মধুই নয়, এই চাষের মাধ্যমে প্রাপ্ত অন্য উপাদান, যেমন, মোম, পরাগ এই সবের বিষয়েও খোঁজ পাবেন- কোথায় পাওয়া যাবে, কীভাবে বিক্রি করা যাবে জানতে পারবেন পুরোটাই।
আরও পড়ুনঃ তাপে পুড়ে ছারখার বাংলা, আচমকা আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি
ন্যাশনাল বিকিপিং অ্যান্ড হানি মিশন মধু চাষের লক্ষ্যে সারা দেশে অন্তত ১০০টি মধুচাষিদের সংগঠনকেন্দ্র নিয়ে কাজ করছে, নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে ল্যাবরেটরিতে মধু নিয়ে পরীক্ষা চলছে। বিশেষ করে আদিবাসীপ্রধান এলাকায় মধু চাষের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে টিআরআইএফইডি। ২০২০-২১ সালে শুধু এই সংগঠনের তরফেই ১১৫ লক্ষ টাকার মধু রফতানি করা সম্ভব হয়েছে।
তবে যাঁরা মধু চাষের বিষয়ে আগ্রহী, পঞ্জাব এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি তাঁদের ইতালিয়ান মৌমাছি পালনের পরামর্শ দিচ্ছে। এই মৌমাছি সাধারণ মৌমাছির তুলনায় অন্তত তিনগুণ বেশি মধু সংগ্রহ করে, খুব অল্প সময়েই অন্তত ৫০ হাজার পাক দিতে পারে চারদিকে। ফলে, এদের পালনে মধুচাষে লাভ বেশি হয়।