TRENDING:

Farming News: আয়কর আধিকারিকের আমলকি বাগান! না দেখলে বিশ্বাসই হবে না কত টাকা আয় তাঁর

Last Updated:

Farming News: আসলে প্রায় ২৩ বছর আগে থেকেই তিনি বাগান করতে শুরু করেন। নিজের ৪৫ বিঘা জমিতে প্রতাপগড় থেকে ২,৮০০টি চারা এনে আমলকির বাগান শুরু করেছিলেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ইচ্ছের জোরে মানুষ কী না করতে পারে। তেমন ভাবেই নিজের ইচ্ছে পূরণ করে সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন রাজস্থানের করৌলি জেলার বিজলপুর গ্রামের এক কৃষক পরিবারের সন্তান। কৃষক পরিবার থেকে উঠে এসে জগন মীনা আয়কর বিভাগের ডেপুটি কমিশনারের পদে কাজ করেছেন। আর অবসরের পর তিনি আবার ফিরে গিয়েছেন সেই চাষের কাজেই।
আমলকি বাগান
আমলকি বাগান
advertisement

আসলে প্রায় ২৩ বছর আগে থেকেই তিনি বাগান করতে শুরু করেন। নিজের ৪৫ বিঘা জমিতে প্রতাপগড় থেকে ২,৮০০টি চারা এনে আমলকির বাগান শুরু করেছিলেন।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে একসঙ্গে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল! নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

অবসর গ্রহণের পর পরীক্ষামূলক কৃষিতে তিনি এখন পুরো রাজ্যে পরিচিতি পেয়েছেন। এলাকার কৃষকদের কাছে অনুপ্রেরণাও বটে। ঐতিহ্যবাহী কৃষির বদলে আমলকি চাষ করে তিনি শুধু নিজের আয় বাড়াননি বরং করেছেন বেশ কিছু মানুষের কর্ম সংস্থানও।

advertisement

চাষ শুরু হয় ২০০০ সালে—

আয়কর বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার জগন মীনা জানান, তিনি ২০০০ সালে প্রতাপগড় থেকে ২,৮০০টি চারা এনে আমলকি বাগান করেছিলেন। সেই সময়ে ঐতিহ্যবাহী চাষে লাভ ছিল না। খানিকটা বিরক্ত হয়েই তিনি বিকল্প চাষের কথা ভেবেছিলেন। গত কুড়ি বছরে তাঁর উদ্যোগ ফল দিয়েছে।

advertisement

মীনা বলেন, ‘ভারতীয় আয়কর বিভাগে ২৮ বছর চাকরি করেছি। চাকরিরত অবস্থাতেই আমলকির বাগান শুরু করি। মূল উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের এবং পারিবারিক আয় বৃদ্ধি।’

উদ্ভাবনী কৃষি পদ্ধতির ফলে পাঁচ-ছয় মাসে ৫০ থেকে ৬০ জনের নিয়মিত কর্মসংস্থান হচ্ছে এবং সারা বছর কয়েক ডজন পরিবারের স্থায়ী কর্মসংস্থান হচ্ছে।

advertisement

টক ফলের চাষ—

জগন মীনা জানান, এ অঞ্চলের জমি টক ফল চাষের জন্য খুবই উর্বর। কৃষক যদি তার সামর্থ্য অনুযায়ী এক বা দুই বিঘা জমিতে টক ফলের চাষ করেন তাহলে তিনি অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন বলে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মীনা বলেন, ঐতিহ্যবাহী চাষের তুলনায় লেবু জাতীয় ফল চাষে কম শ্রম ও দ্বিগুণ লাভ পাওয়া যেতে পারে। ঐতিহ্যবাহী কৃষিতে এক বিঘা জমিতে মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকা লাভ হতে পারে। অন্যদিকে লেবু ফল চাষে একটু যত্ন করলেই এক বিঘা জমিতে চাষিরা দ্বিগুণ লাভ করতে পারেন।

advertisement

নিজেই দেখাশোনা করেন ৪৫ বিঘার বাগান—

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ধ্বংসলীলার পর প্রকৃতির উপহার, ভরছে ঝুলি! উত্তরের মৎস্যজীবীরা যেন চাঁদ পেলেন হাতে
আরও দেখুন

৬১ বছর বয়সেও নিজের বাগান নিজেই দেখাশোনা করেন জগন মীনা। ফল ও পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিয়মিত প্রায় ৪ হাজার গাছের পরিচর্যা করেন অবসরপ্রাপ্ত এই আয়কর অধিকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমলকির নিয়মিত পরিচর্যা প্রয়োজন। না হলে ফলন কমে যেতে পারে। কীটের আক্রমণও হতে পারে।’

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Farming News: আয়কর আধিকারিকের আমলকি বাগান! না দেখলে বিশ্বাসই হবে না কত টাকা আয় তাঁর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল