উত্তর গুজরাতে সব থেকে বেশি চাষ করা অর্থকরী ফসলের মধ্যে প্রধান বলা যেতে পারে মৌরিকে। বীজযুক্ত মশলার মধ্যে মৌরি অন্যতম। এই মৌরি শুধু মশলা হিসেবেই নয়, ওষুধ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এই মশলা শীতল পানীয়, আচার ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ইদানীং মৌরি চাষ করতে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়ছেন চাষিরা। ফসলে নানা ধরনের রোগ আক্রমণের কারণে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
advertisement
গুজরাতের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের এক কৃষিবিদ জানালেন, স্যাকারোমাইসিসে আক্রান্ত হচ্ছে এই ফসল। তবে একে ঠিক পোকার আক্রমণ বলা যায় না, বরং শারীরবৃত্তীয় রোগের কারণে ফুল থেকে মধুর মতো তরল বের হয়। তার ফলেই কালো ছত্রাক আক্রমণ করে গাছকে। ধীরে ধীরে গোটা গাছটি কালো হয়ে যায়। বীজ তৈরি হতেই পারে না।
সব থেকে বড় সমস্যার বিষয় হল, এই রোগ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কার্যকর কোনও প্রতিষেধক নেই। কিন্তু কৃষক একটু সতর্ক হলেই ফসল বাঁচাতে পারেন। ফসলে অতিরিক্ত সেচ না দিলে এবং নাইট্রোজেন সার না দিলে উৎপাদন বাড়ানো যায়।
মৌরি গাছ লাগানোর এক মাস বা তারও বেশি সময় পরে এই রোগ শুরু হয়। রোগ শুরু হওয়ার কারণে ফুলের নির্দিষ্ট অংশে বীজ আসে না। অথবা, যদি আসেও তবে সেগুলি আকারে ছোট হয়, অনেক সময় কুঁচকে যায় এবং কালো রঙের হয়।
রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রথমেই রোগমুক্ত বীজ নির্বাচন করে নিতে হবে। বীজ বপনের আগে প্রতি কেজি বীজে ৩ গ্রাম হারে ম্যানকোজেব বা থিরাম ছত্রাকনাশক দিয়ে শোধন করিয় নিতে হবে।
ফসলে রোগ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ১৫ লিটার জলে ৩০ গ্রাম Biterlaton 25WP (Bicor) বা ক্লোরোথালোনিল (Kavach, Deconil) অথবা, ১৫ মিলিগ্রাম Tebuconazole 250EC (Folikur, Torque) বা কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে নিতে হবে। ১০ দিনের অন্তর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।