রাজস্থানের দুঙ্গরপুরের মাদা গ্রামের বাসিন্দা সুরেশ পটেল একজন প্রগতিশীল কৃষক। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি সবজি চাষ করছেন। তা থেকেই তিনি যে পরিমাণ উপার্জন করেন, অনেক ভাল চাকরিরত মানুষও করতে পারেন না। সুরেশের দাবি, চাষ করে বছরে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।
advertisement
আসলে সুরেশ কৃষক বংশের সন্তান। চাষ করাই তাঁর পূর্বপুরুষের পেশা। কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত তাঁর পরিবারে শুধু গম, ভুট্টা ও ধানের চাষই করা হত। সেই ধারায় পরিবর্তন এনেছেন স্বয়ং সুরেশ। তিনি চাষের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই চাষের আয় দ্বিগুণ হয়েছে। সুরেশ ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ ছেড়ে সবজি চাষ শুরু করেন।
এক সময় ৪ বিঘা চাষ করতেন সুরেশের, এখন ৫০ বিঘা জমি রয়েছে তাঁর। এই বিকল্প কৃষি যে শুধু সুরেশের পরিবারকে আর্থিক ভাবে শক্তিশালী করছে তাই নয়, বরং ৮ থেকে ১০ জন নারী কাজ করেন তাঁর জমিতে, তাঁদেরও কর্মসংস্থান হয়।
কৃষক সুরেশ পটেল বলেন, ‘কৃষিজীবী সম্প্রদায় যদি ঐতিহ্যবাহী চাষের পাশাপাশি সবজি চাষ করেন, তাহলে প্রচুর লাভ করতে পারেন। আমি যখন কৃষিকাজ শুরু করি, তখন মানুষ ভেবেছিল আমার আখেরে ক্ষতিই হবে। কিন্তু এখন বহু কৃষক আমার কাছে কাজ শিখতে আসেন।’
আরও পড়ুন: এফডি-তে সুদের হার কমাল PNB, Axis Bank! স্থায়ী আমানতের হার বৃদ্ধির যুগ শেষ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা!
সুরেশ দাবি করেন, আসলে সবজির চাষ এমন যে তা যে কোনও মরশুমে করা যায়, আয় করা যায়। মরশুমি সবজির চাহিদা সবসময় থাকে।
এরই পাশাপাশি অন্য পথও দেখাচ্ছেন সুরেশ। তিনি সবজি চাষ করে যে পরিমাণ লাভ পাচ্ছেন, তার পিছনে রয়েছে অন্য একটি কৌশল। সুরেশ কোনও ফড়ে বা সবজি বিক্রেতাকে সবজি সরবরাহ করেন না। বরং তিনি নিজেই নিজের পিকআপে ভ্যান ভরে সবজি নিয়ে সকালবেলা দুঙ্গারপুর মান্ডিতে যান। পাইকারি হারে বিক্রি করেন। তাই লাভ তার একার।