আগ্রহী হলে একটি অনন্য চাষের কথা ভেবে দেখা যেতে পারে। এই ফসলের চাহিদা বাজারে খুবই বেশি। আবার বাড়িতে খুব সহজেই এটি চাষ করা যেতে পারে। একে এক কথায় বলা যায়, মাইক্রোগ্রিনস।
অঙ্কুরিত শস্য বা স্প্রাউটও খুব স্বাস্থ্যকর। অতি আধুনিক প্রাতরাশেও এক কদর রয়েছে। মাইক্রোগ্রিনস হল স্প্রাউটের পরবর্তী পর্যায়, যেখানে বীজ অঙ্কুরিত হয়ে যাওয়ার পর দু’টি পাতা বের হয়। সেসময়ই ফসল কেটে নিতে হয়। অর্থাৎ মাইক্রোগ্রিনস হল দু’টি পাতা ও একটি ছোট্ট ডাঁটা। মুলো, সর্ষে, মেথি, ছোলা, গম বা ভুট্টার মতো বীজ দিয়ে মাইক্রোগ্রিনস চাষ করা যায়। এগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর। বেশিরভাগ মানুষই অঙ্কুরিত বীজ খেতে পছন্দ করেন। অঙ্কুরিত বীজকে আরও কয়েকদিন রেখে দিলেই ছোট্ট গাছ বের হয়, দু’টি পাতা খোলে। এগুলি শরীরে বাড়তি পুষ্টি জোগায়। বিশেষত করোনার পর থেকেই মাইক্রোগ্রিনসের চাহিদা বেড়েছে। তাই বাজারে ভাল দামও পাওয়া যায়।
advertisement
বাজারে পরিবহণ—
মাইক্রোগ্রিনস চাষ করা খুবই সহজ। এটি যে কোনও জায়গায় যে কেউ শুরু করতে পারেন। বিনিয়োগও কম। যে কোনও পাত্রে মাইক্রোগ্রিনস চাষ করতে পারেন যে কেউ। মাটির সঙ্গে সামান্য জৈব সার প্রয়োগ করে বীজ বপন করতে হবে। উৎপাদিত ফসল বাড়ির প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিচেন গার্ডেন হিসেবে বারান্দায় বা ছাদে চাষ করা যায়। ব্যবসা করতে চাইলে একটি ঘরে একটি মাইক্রো গ্রিন ইউনিট স্থাপন করা যেতে পারে।
অঙ্কুরোদ্গমের পরে মাইক্রোগ্রিনসের সূর্যালোক প্রয়োজন হয়। তবে কৃত্রিম আলো থাকলে বাড়ির ভিতরেও রাখা যেতে পারে। অঙ্কুরিত শাক কেটে বাজারে বিক্রি করা যায়।
