তেমনই একজন মানুষের খোঁজ মিলেছে রাজস্থানের ভরতপুর শহরে। এই শহরের বাসিন্দা শিবসিং শিকরওয়ার তাঁর নিজের গোটা বাড়ি জুড়েই লাগিয়েছেন গাছ। ফলে গোটা বাড়িটাই সবুজ হয়ে গিয়েছে। শুধু শখের গাছ লাগানোই নয়, তার পাশাপাশি চাষের কাজেও হাত লাগিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্য রাস্তায় যুবতীর সঙ্গে এ কী আচরণ! ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসা
advertisement
শিবসিংয়ের দাবি বাবার কাছ থেকেই এর অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তিনি। নিজের বাগানে প্রায় ১২ ফুট লম্বা একটি টম্যাটো গাছ তৈরি করতে পেরেছেন। ফলে টম্যাটো পারতে গেলে মই লাগে।
তবে শুধু লম্বা টম্যাটো গাছ নয়। এছাড়াও তাঁর বাগানে রয়েছে দু’ফুট লম্বা আম গাছের চারা, হলুদ বেগুন। এলাচের মতো নানা মশলার চাষও করেন তিনি। তাঁকে সাহায্য করে তাঁর ছেলেমেয়েরাও।
শিবসিং জানান, তিনি তাঁর পরলোকগত বাবা মেহতাব সিংয়ের কাছ থেকে এই ধরনের গাছ লাগানোর অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। কারণ তাঁর বাবাও ছিলেন একজন প্রকৃতিপ্রেমিক। বাড়িতে গাছ লাগানোর পাশাপাশি নানা ধরনের সবজি চাষও শুরু করেন তিনি। শিবসিংয়ের দাবি এইসব গাছ তাঁর কাছে নিজের সন্তানের মতোই। তাই গাছের পরিচর্যা ফেলে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন না।
এসব গাছগাছালি বাড়ির ভেতর যেমন বিশুদ্ধ অক্সিজেনের সরবরাহ করে তেমনই তাজা সবজি ও পাওয়া যায়। আবার কৃত্রিম জিনিসপত্রের বদলে এই গাছ দিয়েই সাজিয়ে ফেলা যায় ঘর।
শিবসিংয়ের বাগানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল ১২ ফুট লম্বা টম্যাটো গাছ এবং হলুদ বেগুন গাছ। ১২ ফুট লম্বা টম্যাটো গাছ থেকে টম্যাটো পাড়ার জন্য মই ব্যবহার করতে হয়।
হলুদ বেগুনের পাশাপাশি দুই ফুটের বড় আম গাছ বা এলাচ, সেলারি-সহ নানা ধরনের মশলার গাছও তাঁর বাগানের আকর্ষণ। তিনি জানিয়েছেন, অনলাইনে টম্যাটো বীজ অর্ডার করে আনিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জয়পুর থেকে অর্ডার করেছেন নানা গাছের চারা ও বীজ। প্রতিবেশীরা এখন নিয়মিত তাঁর বাড়িতে বাগান দেখতে আসেন।