১৮ নভেম্বর সোদপুরের ঘোলার বাসিন্দা অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেজিস্ট্রি হয় ক্যানিংয়ের বাসিন্দা রূপা ভট্টাচার্যর। রবিবার ছিল বউভাত। বিয়েতে কোনও পণ বা উপহার চাননি অঞ্জনের বাবা গণেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর একটাই দাবি, কুড়িজন কন্যাযাত্রীকে রক্ত দিতে হবে।। প্রথমে অবাক হলেও,,,হাসিমুখেই বেয়ানের আবদার মেনে নেন কনের বাবা-মা।
রক্তের অভাবে মৃত্যু দেখেছেন গণেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। রক্তের সঙ্কট তিনি চেনেন। ছেলের পৈতেতেও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন। বিয়েটাই বা বাদ যায় কেন?
advertisement
বরকনের বসার মঞ্চ, খাওয়াদাওয়ার জায়গার পাশেই চলল রক্তদান শিবির। আমন্ত্রিত দুশোজন অতিথির অনেকেই রক্ত দিলেন । রক্ত দেন রূপার বাবা-মাও। তাঁদের জন্য ছিল এনার্জি ড্রিঙ্ক, ফল, কফি, বিস্কুট। তারপর কবজি ডুবিয়ে চিকেন বিরিয়ানি, মটন কষা, পোলাও, মিষ্টি, আইসক্রিম তো ছিলই।
গণেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাস, এভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রক্তদান শিবির হলে, রক্তের সঙ্কট অনেকটাই কমবে।
আরও পড়ুন-একসময়ের বন্ধু, আজ সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে