প্রথমে পুরুলিয়া। তারপর মেদিনীপুর। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদির সভার পর উচ্ছ্বসিত ছিল রাজ্য বিজেপি। দুটি কর্মসূচিই সফল বলে দাবি করেছিল রাজ্য নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতেই ৩ অগাস্ট কলকাতায় জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা করে রাজ্য বিজেপি। স্থির হয়েছিল কলকাতার বুকে একইসঙ্গে সাঁড়াশি আক্রমণ চালাবে পদ্ম শিবির ৷ একদিকে রানি রাসমণিতে সভা করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ৷ অন্যদিকে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী পুনম মহাজনের নেতৃত্বে হবে বিধানসভা অভিযান ৷
advertisement
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০১৯ লোকসভা ভোটকে সামনে রেখেই আগ্রাসী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু এই পরিকল্পনার গোড়াতেই ছিল গলদ। কারণ, বিধানসভা অভিযানের মত কর্মসূচিতে আইন-শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা রয়েছে ৷ অথচ একই দিনে সভা করার কথা ছিল অমিত শাহের ৷ সেক্ষেত্রে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটলে সরাসরি তার দায় অমিতের ঘাড়েই পড়ত ৷
আরও পড়ুন
‘সু্প্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের পঞ্চায়েত ভোট হলে কুরুক্ষেত্র হবে’: দিলীপ
সে সম্ভাবনা বুঝেই কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে বিধানসভা অভিযান স্থগিত রাখার বার্তা? নাকি রাজ্য নেতৃত্বের সংগঠনের ওপর ভরসা রাখতে পারলেন না অমিত শাহ-শিবপ্রকাশরা? যদিও বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, লোকসভার অধিবেশন চলছে বলেই আপাতত বিধাসভা অভিযান স্থগিত রাখা হচ্ছে ৷ বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় অভিযান স্থগিত রাখতে হচ্ছে ৷ সদ্য ২টি বড় সভা করেছে দল। তাই এখনই বিধানসভা অভিযানের মত বড় কর্মসূচির প্রয়োজন নেই ৷
রাজ্য নেতৃত্বের যুক্তি মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরেও। তাদের মতে, লোকসভার অধিবেশন পূর্ব নির্ধারিত। বর্ষা যে চলছে, সেটাও কারওর অজানা ছিল না। আর দুটো সফল সভার পর একটা বড় কর্মসূচি করা হলে, সেটা বিজেপির-ই অ্যাডভানটেজ হত। নাকি মেদিনীপুরে দুর্ঘটনার পর রাজ্য নেতৃত্বে আর ভরসা নেই? তাই কি আপাতত অভিযান স্থগিতের নির্দেশ?