দীর্ঘ দিন ধরেই লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন ছিলেন বিপ্লবকেতন। চিকিৎসার সুবিধার জন্য শেষের ক’দিন বেহালার বাড়ি থেকে তাঁকে ঢাকুরিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল। চলছিল ডিসলেক্সিয়ার চিকিৎসা, শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
একাধিক সিনেমা ও ধারাবাহিকে অভিনয় করলেও মূলত নাট্যজগতের মানুষ ছিলেন বিপ্লবকেতন চক্রবর্তী। ১৯৭২ থেকে ’৯২ পর্যন্ত ‘চেতনা’ নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন । ১৯৯৩ সালে গঠন করেন নিজের নাট্যদল -- ‘থিয়েটারওয়ালা’ ।
advertisement
চেতনায় থাকাকালীন অভিনেতাকে দেখা গিয়েছে ‘মারীচ সংবাদ’, ‘জগন্নাথ’, ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’, ‘স্পার্টাকাস’-এর মতো একের পর এক কিংবদন্তী নাটকে। এর পর থিয়েটারওয়ালার প্রযোজনায় ’৯৩ থেকে প্রায় ২০০০ সাল পর্যন্ত ‘বাঘুমান্না’, ‘কাচের দেওয়াল’-এর মতো নাটকের মঞ্চাভিনয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন । উৎপল দত্তের নাট্য অ্যাকাডেমির প্রথম প্রযোজনা ‘চৈতালী রাতের স্বপ্ন’-তে তাঁর অভিনয় এখনও দর্শকমনে তরতাজা।
তাঁর অভিনীত ধারাবাহিকের মধ্যে ‘জন্মভূমি’ বা ‘চুনিপান্না’র তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। তরুণ মজুমদার, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বা বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পরিচালকের ছবিতেও অভিনয় করেছেন। বড় এবং ছোট মেয়ে বিদীপ্তা এবং সুদীপ্তা চক্রবর্তীও বাবার পথ ধরে হেটেছেন। তাঁরাও প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা।
বিপ্লবকেতন চক্রবর্তীর পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, এ দিন কেওড়াতলা মহাশশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।