বরলক্ষ্মী ব্রতে দেবী আরাধনার সময়:
১. সিংহ লগ্ন পূজা মুহূর্ত: সকাল ৬টা ১৮ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ১৯ মিনিট- এই ২ ঘণ্টা ০১ মিনিটের মধ্যে সাঙ্গ করতে হবে প্রভাতকালীন মহাপূজা।
২. বৃশ্চিক লগ্ন পূজামুহূর্ত: দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট থেকে দুপুর ৩টে ০০ মিনিট- এই ২ ঘণ্টা ১৬ মিনিট মধ্যাহ্নকালীন মহাপূজার পক্ষে প্রশস্ত।
advertisement
৩. কুম্ভ লগ্ন পূজামুহূর্ত: সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট থেকে রাত ৮টা ২৫ মিনিট- এই ১ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট সান্ধ্যকালীন মহাপূজার জন্য আদর্শ।
৪. বৃষভ লগ্ন পূজামুহূর্ত: রাত ১১টা ৩৬ মিনিট থেকে রাত ১টা ৩৪ মিনিট- এই ১ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট নিশীথকালীন মহাপূজার জন্য নির্দিষ্ট।
বরলক্ষ্মী ব্রত উদযাপনের রীতি:
এই ব্রত নারী-পুরুষ নির্বিশেষে উদযাপন করতে পারেন, যদিও বিবাহিতাদের মধ্যে বরলক্ষ্মী ব্রত পালনের রীতি বেশি চোখে পড়ে। দেখে নেওয়া যাক কী ভাবে এই ব্রতে শ্রীদেবীর আরাধনা সম্পন্ন করতে হবে।
১. ব্রাহ্মমুহূর্তে স্নান সেরে নিয়ে সারা বাড়ি আলপনা দিতে হবে, পরিষ্কার করে রাখতে হবে পূজার জায়গা।
২. একটি তামা বা কাঁসার কলসের গায়ে তেল-সিঁদুর বা কুমকুম-চন্দন দিয়ে এঁকে দিতে হবে স্বস্তিকা চিহ্ন। এর পর এটি একটি সাদা কাপড়ে মুড়ে দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি বা ছবির সামনে স্থাপন করতে হবে। কলসটি জলপূর্ণ করতে হবে, অনেকে চাল দিয়েও পূর্ণ করে রাখেন। জল দিলে তার সঙ্গে কিছু চালের দানা দিতে হবে। এছাড়া উভয় ক্ষেত্রেই কলসে দিতে হবে পয়সা, গোটা সুপারি এবং পাঁচ রকমের পাতা।
৩. ঘটের মুখে স্থাপন করতে হবে আম্রপল্লব, তার মাঝখানে একটি হরিদ্রারঞ্জিত নারকেল স্থাপন করতে হবে। ঘটের গায়ে জড়িয়ে দিতে হবে হলুদ রঙের সুতো।
৪. দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি দিতে হবে 'ওম হ্রীম শ্রীম লক্ষ্মীভ্য নমঃ' মন্ত্রে। তাঁকে ফল এবং মিষ্টান্ন অর্পণ করতে হবে নৈবেদ্য রূপে।
৫. সন্ধ্যাকালে দীপ এবং ধূপে দেবীর আরতি অবশ্য কর্তব্য।
৬. পরের দিন সকালে ওই মঙ্গল কলসের জল সারা বাড়িতে ছিটিয়ে দিতে হবে। কলসের চাল বাড়ির সবাইকে দিতে হবে প্রসাদ রূপে। যাঁরা কলস চালে পূর্ণ করবেন, তাঁরা ওই পবিত্র চাল দিয়ে পায়স প্রস্তুত করে দেবীর ভোগ গ্রহণ করতে পারেন।
৭. বরলক্ষ্মী ব্রতে দেশের অঞ্চলভেদে খাদ্যাখাদ্য ভেদ রয়েছে। তবে নির্জলা উপবাসে সমর্থ না হলে ফলাহার করা যায়। বিবাহিতারা এই দিন পরস্পরকে তাম্বুল বা পান দিয়ে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়ে থাকেন।
বলা হয়, শিবের মুখ থেকে এই ব্রতের কথা শুনে স্বয়ং দেবী পার্বতী এই ব্রত উদযাপন করেছিলেন, যার পরিণামে অক্ষয় হয়েছিল তাঁর সৌভাগ্য!