লোকাল ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেষের বাসিন্দা জ্যোতিষী প্রকাশ চন্দ্র জোশী বলেছেন, বর্তমানে শনির সাড়ে সাতি মকর, মীন ও কুম্ভ রাশিতে চলছে। ২০২৪ সালে শনির রাশির কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, যে কোনও রাশিতেই শনির মহাদশা হতে পারে। জাতকের কুষ্ঠির ভিত্তিতে মহাদশার হিসাব জানা যায়।
আরও পড়ুন– 6174 কেন ম্যাজিক্যাল সংখ্যা? কে তা আবিষ্কার করেছেন? খুব কম সংখ্যক মানুষই এই বিষয়ে জানেন
advertisement
জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমন কিছু জিনিস আছে যা কাছে রাখলে এবং ব্যবহার করলে শনিদেব সন্তুষ্ট হন, ভাল ফল পাওয়া যায়। তিনি বলছেন, বছর শুরুর আগে এই ৫টি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। এগুলো বাড়িতে আনতে পারলে সবথেকে ভাল।
শনি যন্ত্র: প্রকাশ জোশী বলেন, জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী যাঁরা সঠিক সংকল্প নিয়ে শনি যন্ত্র ঘরে বসান, তাঁরা ভাল ফল পান। শনিদেব প্রসন্ন হন।
সাতমুখী রুদ্রাক্ষ: শিবপুরাণ অনুসারে, সাতমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে শনিদেবের ক্রোধ থেকে বাঁচা যায়। এই রুদ্রাক্ষ মহালক্ষ্মীর রূপ। যাঁরা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন বা বাড়ির ঠাকুরঘরে রেখে প্রতিদিন পূজা করেন তাঁরা শনিদেবের থেকে ধন সম্পত্তি ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ লাভ করেন। ২০২৪ সালে সাতমুখী রুদ্রাক্ষ কাছে রাখলে শুভ ফল মিলতে পারে।
নীলা: শনিদেবের সবচেয়ে প্রিয় রত্ন নীলা বা নীলকান্তমণি। তবে এই রত্ন ধারণ করতে চাইলে জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া উচিত। ধারণ করতে না চাইলে ঠাকুরঘ্যে রেখে পুজো এবং শনি মন্ত্র জপ করলেও একই ফল পাওয়া যায়।
লোহার আংটি: শনিদেবের প্রিয় ধাতু লোহা। বিশ্বাস, মধ্যমায় লোহার আংটি পরলে শনিদেব সন্তুষ্ট হন। লোহার আংটি পরতে চাইলে শনিবার পরাই উচিত। আর ২০২৪-এ পরতে চাইলে ৭ জানুয়ারি পরা যায়, নতুন বছরের প্রথম শনিবার।
শমী গাছের শিকড়: শনিদেব শমী গাছে বাস করেন বলে বিশ্বাস। তাই শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে শমী গাছ লাগানো হয়। গাছ লাগাতে অসুবিধা থাকলে নতুন বছরের প্রথম শনিবার ব্রাহ্ম মুহুর্তে স্নান করে এর শিকড় কালো কাপড়ে বা নীল কাপড়ে বেঁধে হাতে তাগার মতো পরার পরামর্শ দিয়েছেন জ্যোতিষী প্রকাশ। তিনি বলেন, এতেও একই উপকার পাওয়া যায়।
(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)