আরও পড়ুনঃ সামনেই মহাশিবরাত্রি, কী খাওয়া উচিত, কী খাবেন না? অফুরাণ আশীর্বাদে ভরবে সংসার
আজ আমরা কাশীর বিখ্যাত জ্যোতিষীর কাছ থেকে এই সম্পর্কে জেনে নেব।
আমাদের ধর্মশাস্ত্রে আরতির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বিশেষ করে ভক্তরা আরতির সাহায্যে দেবতার চরণে নিজেদের আরোপিত করেন। পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায় লোকাল ১৮-কে জানিয়েছেন যে, দেবতার আরতি সাধারণত ধূপকাঠি, প্রদীপ এবং কর্পূর দিয়ে করা হয়। যখনই আরতির জন্য ধূপকাঠি ব্যবহার করা হয়, তখন অবশ্যই তাদের সংখ্যা সর্বদা বিজোড় হওয়া উচিত। অর্থাৎ ৩,৫,৭ বা ৯টি ধূপকাঠি জ্বালিয়ে দেবতার আরতি করা উচিত। এমনকী আরতির জন্য প্রদীপেও ৩,৫ বা ৭টি শিখা ব্যবহার করতে হবে।
advertisement
আরতির সময় মাথায় রাখা উচিত
পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায় লোকাল ১৮-কে আরও বলেন যে, আরতি শুরু করার সময় প্রথমে দেবতার পায়ের দিকে ৪ বার তা দেখাতে হবে। এরপর ধূপকাঠি বা প্রদীপ দিয়ে নাভিতে ২ বার, মুখ বা কপালে এবং পা থেকে মুখ পর্যন্ত ৭ বার আরতি করতে হবে। শাস্ত্রে ১৪ বার দেবতার আরতি করার কথা বলা আছে।
ওমের আকৃতিতে আরতি করা উচিত
পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায় লোকাল ১৮-এর প্রশ্নের উত্তরে জানান, যখনই দেবতার আরতি করা হয়, তখন ধূপকাঠি ও প্রদীপ ব্যবহার করে ওমের আকৃতি দিয়ে যে কোনও দেবতার আরতি করতে হবে। এতে দেবতারা সন্তুষ্ট হন এবং তাঁদের আশীর্বাদ সর্বদা ভক্তদের ওপর বর্ষণ করেন।