লিখে গিয়েছেন সন্তকবি তুলসীদাস তাঁর হনুমান চালীসায়, যা অগণিত ভক্তকে আপৎকালে মানসিক শক্তি জোগায়। ঠিক একই কথা বলছেন প্রখ্যাত শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত সুধীর পাণ্ডেও। তিনি আমাদের চালীসার এই দুই পংক্তি মনে করিয়ে দিয়ে বলছেন যে এই কলিকালে দেবতাদের মধ্যে চিরঞ্জীবী হনুমানই ভক্তের প্রার্থনা তুষ্ট করে থাকেন লহমায়, তাঁর নাম স্মরণ মাত্রেই দূর হয় সব বাধা, জীবন হয়ে ওঠে মঙ্গলময়। অঞ্জনিসুতের জন্মও তো মঙ্গলবারে, ফলে মঙ্গলবার সপ্তাহের ৭ দিনের মধ্যে তাঁর বিশেষ প্রিয়, এই দিনটি তাঁর আরাধনার জন্যই উৎসর্গীকৃত। তাই পাণ্ডে আমাদের প্রতি মঙ্গলবারে সঙ্কটমোচন পাঠ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
advertisement
তবে, মঙ্গলবারে যদি বজরঙ্গবলীকে প্রসন্ন করতেই হয়, তাহলে এক বিশেষ পূজাবিধি অনুসরণ করা অবশ্য কর্তব্য। কীভাবে তা করতে হবে, জেনে নেওয়া যাক এবারে।
আরও পড়ুন : অর্থাভাব? হজমের গোলমাল? সন্তান পড়াশোনায় অমনোযোগী? সঠিক দিকে মুখ করে খেতে বসুন, সমস্যা দূর হবেই
- সবার প্রথমে মঙ্গলবারে ব্রাহ্মমুহূর্তে উঠে স্নান সেরে নিতে হবে, পরতে হবে শুদ্ধ লাল রঙের বসন।
- ভুললে চলবে না যে শ্রীহনুমান বালব্রহ্মচারী, তাই তাঁর পূজায় বসার আগে ব্রহ্মচর্য পালন গৃহস্থেরও অবশ্য কর্তব্য।
- স্নান করে যেমন নিজের শুদ্ধ হওয়া প্রয়োজন, তেমনই সারা ঘরও পরিষ্কার রাখা উচিত।
- পূজার জায়গা আলোকিত রাখতে হবে, অন্ধকারের কণামাত্রও যেন সেখানে থাকে না।
- এর পর একটা কাঠের বা ধাতুর পিঁড়ি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে তার উপরে রাম দরবারের ছবি রাখতে হবে।
- রাম দরবারের ছবি পাওয়া না গেলে রাম-সীতার ছবি নিতে হবে, যেখানে তাঁদের পায়ের কাছে হনুমানজির দর্শন মিলবে।
- এবার লাল ফুল নিবেদন করতে হবে।
- নিবেদন করতে হবে দীপ এবং ধূপ।
- দিতে হবে গুড়-ছোলার অর্ঘ্য।
- হাতে গঙ্গাজল নিয়ে ব্রতের সঙ্কল্প করতে হবে, রাম-সীতা সহ হনুমানজির কাছে সর্বসঙ্কট মোচনের অনুরোধ জানাতে হবে।
- হাতে রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে জপে বসতে হবে।
- ওম রামদূতায় নমঃ, ওম পবনপুত্রায় নমঃ মন্ত্রদুটি ১০৮ বার জপ করতে হবে।
- সূর্যাস্তের পরেও একই ভাবে আরাধনা করতে হবে বজরঙ্গবলীর, বলা হয় সূর্যাস্তের পরে যে ভক্ত তাঁর আরাধনা করেন, তাঁর সর্ব মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।
- ব্রত উদযাপনের সময়ে লবণ মিশ্রিত কোনও খাবার খাওয়া চলবে না, সম্ভব হলে ফলাহারই সর্বোত্তম।