এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১ অগাস্টের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১৫ শ্রাবণ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল মঙ্গল এবং এই পূর্ণিমা তিথি থাকবে ২ অগাস্ট রাত ১২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথি।
advertisement
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হবে পূর্ণিমা ব্রত এবং শ্রীসত্যনারায়ণ ব্রত-পূজা।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১ অগাস্ট সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ২৩ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১ অগাস্ট সন্ধ্যা ৬টা ২৯ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২ অগাস্ট ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথির নক্ষত্র হল উত্তরাষাঢ়া। ১ অগাস্ট, বিকেল ৪টে ৫৭ মিনিট পর্যন্ত উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে শ্রবণা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন কর্কট রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মকর রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১ অগাস্ট মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ১ অগাস্ট পড়েছে সকাল ৮টা ০০ মিনিট -সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট, দুপুর ১টা ১৩ মিনিট – দুপুর ২টো ৫৭ মিনিট, দুপুর ৩টে ৪৯ মিনিট – বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট – সন্ধ্যা ৭টা ০৯ মিনিট, রাত ৯টা ২১ মিনিট – রাত ১১টা ৩৩ মিনিট পাঁচ সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১ অগাস্ট রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে দুপুর ১টা ৩২ মিনিট – দুপুর ৩টে ১০ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।