এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৬ জানুয়ারির কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ২১ পৌষ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শুক্র এবং এই পূর্ণিমা তিথি থাকবে ৭ জানুয়ারি রাত ৩টে ২৯ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের খাবারে ফিস ফ্রাইয়ের আকার দেখলে চোখ কপালে উঠবে! নেটপাড়ায় শোরগোল
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হবে পূর্ণিমা ব্রত, শ্রীসত্যনারায়ণ পূজা।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৬ জানুয়ারি সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৩৩ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১৪ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৬ জানুয়ারি বিকেল ৪টে ৪২ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৭ জানুয়ারি সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথির নক্ষত্র হল আর্দ্রা। ৬ জানুয়ারি, রাত ১১টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত আর্দ্রা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে পুনর্বসু নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন ধনু রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মিখুন রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৬ জানুয়ারি মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ৬ জানুয়ারি পড়েছে সকাল ৬টা ৩৩ মিনিট - সকাল ৭টা ১৬ মিনিট, সকাল ৭টা ৫৯ মিনিট - সকাল ১০টা ০৭ মিনিট, দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট - দুপুর ৩টে ০৬ মিনিট, দুপুর ৩টে ৪৯ মিনিট - বিকেল ৫টা ১৪ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ০৭ মিনিট - রাত ৯টা ৪১ মিনিট পাঁচ সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৬ জানুয়ারি রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ১০টা ৩৪ মিনিট - সকাল ১১টা ৫৪ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
