TRENDING:

Mental Health: মোবাইল ফোন 'সাইলেন্ট কিলার', ধ্বংস করছে মানসিক স্বাস্থ্য, বিশেষজ্ঞদের কথায় চমকে যাবেন

Last Updated:

মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার। শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা সত্যি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
১০ অক্টোবর সারা পৃথিবীতে পালিত হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার। শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা সত্যি। এই বিষয়ে জানালেন মহারাষ্ট্রের জালনার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুরজ শেঠিয়া। তিনি বলেন, অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি থেকে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। যেমন—
advertisement

হতাশা এবং উদ্বেগ—

ডা. শেঠিয়া বলেন, তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা যায়, সেটা হল বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ। এই সমস্যায় যেকোনও মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। বিষণ্ণতা, বিরক্তি, মনোযোগের অভাব, কাজের প্রতি অনাগ্রহ, ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত ঘুম, ক্ষুধামান্দ বা অতিরিক্ত ক্ষুধা, নেতিবাচক চিন্তাভাবনার মতো লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। ভারতে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন মানসিক রোগে ভুগছেন।

advertisement

মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার বিপজ্জনক—

ঘণ্টার পর ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকলে অনেক রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ডা. শেঠিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন আমার কাছে এমন দু’তিনজন রোগী আসেন যাঁরা মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের স্ক্রিন টাইম ৭ থেকে ১০ ঘণ্টা। এটা মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।’

সম্পর্কের ক্ষতি—

advertisement

ডা. শেঠিয়া বলেন, তরুণ প্রজন্মই সব থেকে বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। তাঁরা বাস্তব থেকে দূরে থাকতেই ভার্চুয়াল মাধ্যমকে হাতিয়ার করতে চায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকার ফলে অল্প পরিমাণে ডোপামিন নিঃসৃত হয়। এতে আপাত ভাবে ‘ভাল আছি’ বলে মনে হয়। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণদেরই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করছে। তাঁদের শিক্ষা, পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্কেরও অবনতি হচ্ছে। সময় নষ্ট হচ্ছে ফলে গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষতি হচ্ছে।

advertisement

ডা. শেঠিয়া জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রকৃতিকে আমাদের বন্ধু হিসাবে বিবেচনা করা। অবসরে প্রকৃতির মাঝে খানিকটা সময় কাটানো প্রয়োজন। সময় পেলেই প্রাকৃতিক পরিবেশে হেঁটে আসতে হবে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিজের কোনও একটা শখ গড়ে তোলা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিজস্ব সচেতনতা। ডাঃ শেঠিয়া বলেন, কারও যদি কোনও মানসিক সমস্যা হয়, তাহলে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/জ্যোতিষকাহন/
Mental Health: মোবাইল ফোন 'সাইলেন্ট কিলার', ধ্বংস করছে মানসিক স্বাস্থ্য, বিশেষজ্ঞদের কথায় চমকে যাবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল