নাম থেকেই বোঝা যায়, সৌভাগ্য লাভ করা যায় এই দিনে, এমনই বিশ্বাস। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এই দিনটিকে ভাগ্য এবং সমৃদ্ধির দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গুজরাতে, দীপাবলি উদযাপন শেষ হয় এই লাভ পঞ্চমী তিথিতে। তাই এই দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: চিচিঙ্গা চেনেন? চিনে অবশ্যই সবজিটি খাওয়া শুরু করুন! ডায়াবেটিস থেকে দেহের চর্বি; সব কমবে
advertisement
হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয় যে, লাভ পঞ্চমীর দিনে পূজা করলে সৌভাগ্য লাভ করা যায়। জীবনে, ব্যবসায় এবং পরিবারে উন্নতি হয়। সমস্ত ব্যবসায়ী দীপাবলির পরে এই উৎসব উদযাপন করেন এবং এই দিনে আবার তাদের কাজ শুরু হয়। নববর্ষের প্রথম কার্যদিবস হিসেবে গণ্য হয় লাভ পঞ্চমী।
আরও পড়ুন: রোজ যত খুশি হাঁটলে উল্টে শরীরের ক্ষতি! বয়স অনুযায়ী হাঁটার পরিমাণ আলাদা, কতটা হাঁটবেন জানুন
লাভ পঞ্চম মুহূর্ত:
লাভ পঞ্চম তারিখ: ১৮ নভেম্বর, ২০২৩
লাভ পঞ্চম শুভ মুহূর্ত: সকাল ০৮:২০ থেকে সকাল ০৯:৪৩
লাভ পঞ্চমীর গুরুত্ব—
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে যেকোনও নতুন ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। দীপাবলির পরে, ব্যবসায়ীরা এই দিনে তাদের দোকান এবং কর্মপ্রতিষ্ঠান আবার খুলে বসেন। বিশ্বাস করা হয় যে, লাভ পঞ্চমীর দিনে পূজা করলে মানুষের জীবনে, ব্যবসা এবং পরিবারে শুভ ভাগ্যের উদয় হয়, লাভের পরিমাণ বাড়ে।
এই দিনে ব্যবসায়ীরা নতুন হিসাবের বই উদ্বোধন করেন। সেই সঙ্গে ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য দেবী লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা করেন।
লাভ পঞ্চম পূজা পদ্ধতি
যাঁরা দীপাবলির দিন শারদা পূজা করতে পারেননি তাঁরা দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে পূজা করেন।
এই দিনে লোকেরা লক্ষ্মীদেবী এবং ভগবান গণেশের পূজা করেন। সুখ, সমৃদ্ধি এবং সম্পদের জন্য প্রার্থনা করে।
লাভ পঞ্চমীর দিন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুরা একে অপরের বাড়িতে গিয়ে মিষ্টিমুখ করে থাকেন। কথিত আছে যে এই রীতি পালনের মধ্যে দিয়ে সম্পর্কের মাধুর্য বৃদ্ধি পায়।
ভারতের কিছু অঞ্চলে, লাভ পঞ্চমীর দিন, লোকেরা বিদ্যার পূজাও করে থাকেন। বোধ ও জ্ঞানের জন্য প্রার্থনা করেন।
লাভ পঞ্চমীর দিন, অনেকে অভাবী মানুষের মধ্যে কাপড়, মিষ্টি, টাকা এবং অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেন।