এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
আরও পড়ুন- মাঝেমাঝেই কুকুর মাটি খোঁড়ে, কখনও এর কারণ ভেবে দেখেছেন? রয়েছে আশ্চর্য কারণ
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৭ জুলাইয়ের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৩১ আষাঢ়।
advertisement
এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত।
বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল সোম এবং এই অমাবস্যা তিথি থাকবে ১৭ জুলাই রাত ১০টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি।
১৪৩০ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে অমাবস্যা ব্রত এবং কর্কট সংক্রান্তি উদযাপিত হবে।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৭ জুলাই সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১৭ জুলাই ভোর ৪টে ২৯ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথির নক্ষত্র হল পুনর্বসু। ১৮ জুলাই, ভোর ৪টে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত পুনর্বসু নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে পুষ্যা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন মিথুন রাশিতে ১৭ জুলাই, ২০২৩ তারিখ ভোর ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত; এর পরে গমন করবেন কর্কট রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মিথুন রাশিতে ১৭ জুলাই, ২০২৩ তারিখ রাত ১০টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত; এর পরে গমন করবেন কর্কট রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৭ জুলাই মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ১৭ জুলাই পড়েছে সকাল ৮টা ৪৯ মিনিট – সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট কালীন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৭ জুলাই রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে ভোর ৬টা ৫৬ মিনিট – সকাল ৮টা ৩৬ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।