যোধপুরের শাস্ত্রীনগরে দক্ষিণমুখী বালাজির সঙ্গেই অবস্থান করেন শনিদেব। বিশ্বাস, শনিদেবের শিলায় তেল নিবেদন করলে মনের যাবতীয় ইচ্ছা পূরণ হয়। একই সঙ্গে বালাজিও শনিদেবের মন্দির প্রতিষ্ঠার কারণে এটি সমগ্র মারওয়াড়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এলাকার বাসিন্দাদের বিশ্বাস যেকোনও মনস্কামনা পূরণ হয় শনিদেবের আশীর্বাদে।
দূর-দূরান্তের জেলা এমনকী ভিন রাজ্য থেকেও বহু মানুষ আসেন এই মন্দিরে তেল নিবেদন করতে। সেই সঙ্গে জানিয়ে যান নিজের মনোবাসনার কথা। একসময় সেই মনোবাসনা পূরণ হলে তাঁরা আবার ফিরে আসেন, ভগবান শনিদেবকে ধন্যবাদ জানিয়ে যান। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী শনিদেবকে ন্যায়দণ্ডের অধীশ্বর বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই পৃথিবীতে কোনও মানুষ খারাপ কাজ করলে তিনি শনিদেবের বিরাগভাজন হন। তখন ছারখার হয়ে যেতে পারে ওই ব্যক্তির জীবন।
advertisement
কিন্তু শাস্ত্রীনগরের এই শনিধামের মহন্ত পণ্ডিত হেমন্ত ভোরা বলেন, ‘‘ভগবান শনিদেব কখনও কারও ক্ষতি করেন না। যদি কোনও ব্যক্তি নিয়মিত শনিদেবের পুজো করেন এবং সৎ পথে চলেন, কখনও কারও অনিষ্ট চিন্তা না করেন, কারও ক্ষতি করেন না, মনে সব সময় করুণার ভাব পোষণ করেন, তাহলে সেই ব্যক্তির উপর শনিদেবের আশীর্বাদ সব সময় বজায় থাকে। তবে তিনি সর্বদা ন্যায়বাদীকে সমর্থন করেন।’’
মহান্ত মহারাজ জানান, ‘‘ যখন এইখানে দক্ষিণমুখী বালাজির সঙ্গে শনিদেবের স্থাপন করা হয়েছিল তখন থেকেই বহু মানুষ এই স্থানে এসে পুজো দিয়ে গিয়েছেন। এখানে সাধারণ মানুষ যেমন পুজো করেন, তেমন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এমনকী চিকিৎসকরাও আসেন প্রার্থনা করতে।’’
পণ্ডিত হেমন্ত ভোরা জানান ‘‘ শনিদেবের আশীর্বাদ সর্বদা বজায় থাকে। যে সমস্ত মানুষ দান ও ধর্মে নিবেদিত, দরিদ্র-অভাবীদের সেবা করেন তাঁদের কখনও কোনও সমস্যার মুখে পড়তে দেন না স্বয়ং শনিদেব। বিশেষ করে শনিবার কালো ছোলা, কালো তিল, অড়হর ডাল, তেল, কাপড় বা খাদ্যদ্রব্য দান করলে ভগবান শনিদেব খুশি হন।’’