বিবাহিত মহিলাদের জন্য হরতালিকা তীজের উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে বিবাহিত মহিলারা তাঁদের স্বামীর দীর্ঘায়ু এবং সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে উপবাস পালন করেন। তাঁরা ভগবান শিব এবং মাতা পার্বতীর পূজা করেন। এতে তাঁদের বিবাহিত জীবন সুখে পূর্ণ হয় এবং সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে হরতালিকা তীজের উপবাস পালিত হয়। এই বছর হরতালিকা তীজের উপবাস ২৬ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে উদযাপিত হবে। বিশেষ করে যাঁরা এই বছর প্রথমবারের মতো হরতালিকা তীজের উপবাস রাখতে চান, তাঁদের জন্য দেওঘরের জ্যোতিষীর কাছ থেকে এই দিনে উপবাস এবং পূজার পদ্ধতি জেনে নেওয়া অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
দেওঘরের জ্যোতিষী যা জানিয়েছেন
দেওঘরের পাগল বাবা আশ্রমে অবস্থিত মুদগল জ্যোতিষ কেন্দ্রের বিখ্যাত জ্যোতিষী পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল লোকাল 18-এর সংবাদদাতার সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে বলেন যে, ২৬ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে হরতালিকা তীজের উপবাস পালন করা হবে। প্রতিটি বিবাহিত মহিলার এই উপবাস পালন করা উচিত। এই তিথির পূজা নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসারে করা উচিত যাতে শুভ ফল পাওয়া যায়। বিবাহিত মহিলারা যাঁরা প্রথমবার হরতালিকা তীজে উপবাস করছেন তাঁদের অবশ্যই পূজার নিয়ম ও পদ্ধতি জানতে হবে।
এই নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসারে পূজা করতে হবে
জ্যোতিষীরা বলেন যে, হরতালিকা তীজের দিনে ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীর একটি পার্থিব শিবলিঙ্গ তৈরি করে চারটি প্রহরে পূজা ও প্রার্থনা করতে হবে। অর্থাৎ, হরতালিকা তীজের দিনে প্রদোষ প্রহর থেকেই পূজা শুরু করতে হবে। প্রতিটি প্রহরে ষোড়শোপচার পদ্ধতিতে পূজা করতে হবে। এই দিনে রাত জেগে থাকারও নিয়ম রয়েছে, তাই রাতে জেগে তীজের গল্প শুনতে হয়। সম্ভব হলে হরতালিকা তীজে নির্জলা উপবাস পালন করা উচিত, অন্যথায় ফলাহার করেও চারটি প্রহরে ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীর পূজা করা যেতে পারে।