এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৯ অগাস্টের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১২ ভাদ্র। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল সোম এবং এই দ্বিতীয়া তিথি থাকবে ২৯ অগাস্ট দুপুর ২টো ৩৭ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন : ভাত খাওয়ার পরই এত ঘুম পায় কেন? 'ভাত-ঘুমের' পিছনে আসল বৈজ্ঞানিক কারণ শুনলে চমকে যাবেন!
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি সোমবারে পড়েছে বলে সোমবার ব্রত উদযাপিত হবে।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ অগাস্ট সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৩৩ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধে ৬টা ০৫ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৯ অগাস্ট সকাল ৭টা ০১ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২৯ অগাস্ট সন্ধে ৭টা ৩৪ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির নক্ষত্র হল উত্তর ফাল্গুনী। ২৯ অগাস্ট, রাত ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে হস্তা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবে সিংহ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে কন্যা রাশিতে ৩১ অগাস্ট, দুপুর ১২টা ০৪ মিনিট পর্যন্ত।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ অগাস্ট মাহেন্দ্রযোগ শুরু হচ্ছে দুপুর ৩টে ৩৪ মিনিটে, শেষ হচ্ছে বিকাল ৫টা ১৪ মিনিটে। অমৃতযোগ ২৯ অগাস্ট পড়েছে ভোর ৫টা ৩৩ মিনিট - সকাল ৭টা ১৩ মিনিট, সকাল ১০টা ৩৪ মিনিট - দুপুর ১টা ০৪ মিনিট, সন্ধে ৬টা ৫০ মিনিট - রাত ৯টা ০৮ মিনিটে তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ অগাস্ট রাহুকাল বা কালবেলা শুরু হচ্ছে সকাল ৭টা ০৭ মিনিটে, শেষ হচ্ছে সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
