এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৮ ডিসেম্বরের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ২১ অগ্রহায়ণ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত।
advertisement
বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল বৃহস্পতি এবং এই পূর্ণিমা তিথি থাকবে ৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথি।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৮ ডিসেম্বর সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ২০ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৫টা ০০ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা ০৭ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৯ ডিসেম্বর ভোর ৭টা ১২ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথির নক্ষত্র হল রোহিণী। ৮ ডিসেম্বর, বেলা ১২টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত রোহিণী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে মৃগশিরা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন বৃশ্চিক রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন বৃষ রাশিতে ৯ ডিসেম্বর রাত ১টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত, এর পরে গমন করবেন মিথুন রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৮ ডিসেম্বর মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ৮ ডিসেম্বর পড়েছে ভোর ৬টা ২০ মিনিট - ভোর ৭টা ৪৫ মিনিট, দুপুর ১টা ২৬ মিনিট - দুপুর ২টো ৫২ মিনিট, বিকেল ৫টা ৫৩ মিনিট - রাত ৯টা ২৭ মিনিট তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৮ ডিসেম্বর রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে দুপুর ২টো ২০ মিনিট - বেলা ৩টে ৪০ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
