এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১ মার্চের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১৭ ফাল্গুন। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শুক্র এবং এই ষষ্ঠী তিথি থাকবে ২ মার্চ রাত ৩টে ১৬ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি।
advertisement
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১ মার্চ সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ১৩ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১ মার্চ রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২ মার্চ সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথির নক্ষত্র হল স্বাতী। ১ মার্চ, সকাল ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্বাতী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে বিশাখা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন কুম্ভ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন তুলা রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১ মার্চ মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ১ মার্চ পড়েছে সকাল ৬টা ১৩ মিনিট – সকাল ৭টা ৪৬ মিনিট, দুপুর ১টা ১০ মিনিট – দুপুর ২টো ৪৩ মিনিট, বিকেল ৪টে ১৫ মিনিট – বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিট, সন্ধ্যা ৭টা ২৭ মিনিট – রাত ৯টা ০৬ মিনিট চার সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১ মার্চ রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ১০টা ৩৪ মিনিট – দুপুর ১২টা ০০ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।