এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
আরও পড়ুন: রাশিফল ১৯ ফেব্রুয়ারি, দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৯ ফেব্রুয়ারির কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৬ ফাল্গুন। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল সোম এবং এই দশমী তিথি থাকবে ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন: সূর্য ও বুধের মহামিলনে বুধাদিত্য যোগ, টাকার পাহাড়ে ৪ রাশি! উপচে পড়বে সম্পদ, হবে চাকরিও
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৯ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ২১ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ৪৩ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ১২ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টে ২৬ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথির নক্ষত্র হল মৃগশিরা। ১৯ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত মৃগশিরা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে আর্দ্রা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন কুম্ভ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মিথুন রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত: সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৯ ফেব্রুয়ারি মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে দুপুর ৩টে ২৬ মিনিট – বিকেল ৪টে ৫৭ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ১৯ ফেব্রুয়ারি পড়েছে সকাল ৬টা ২১ মিনিট – সকাল ৭টা ৫২ মিনিট, সকাল ১০টা ৫৪ মিনিট – দুপুর ১টা ১০ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিট – রাত ৯টা ০৫ মিনিট তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত: সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ৭টা ৪৭ মিনিট – সকাল ৯টা ১২ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
