ধমক খেয়েছিলেন কিন্তু শুধরোননি। ভাঙড়ের তাজা নেতা আরাবুল ইসলাম এবারও পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী। ছেলে হাকিমুল সেও প্রার্থী পোলেরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে। বাদ যাননি সদ্য বিবাহিত বউমাও। জেলা পরিষদে আরাবুল পুত্রবধূ শেফালি খাতুন এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। অবস্থা এমন আরাবুলের স্ত্রী ছাড়া পরিবারের সবাই এবার প্রার্থী।
পিছিয়ে নেই আরাবুল বিরোধী কাইজার আহমেদও। নিজের সিট মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। পারিবারিক নিয়ম মেনে এবার সেখানে জেলা পরিষদে প্রার্থী কাইজার পত্নী ইয়াসমিন সুলতানা মুন্সি।
advertisement
খেল দেখিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লাও। তিনিও ব্যস্ত উত্তরাধিকারীকে তৈরি করতে। ভাঙড়ে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে চান না রেজ্জাক। সে কারণে ছেলে মোস্তাক আহমেদের একটা বন্দোবস্ত প্রয়োজন। সে ব্যবস্থা করতে দলের নানা মহলে দৌড়েছিলেন। ফলও মিলেছে। জেলা পরিষদের মতো আসনে এবার প্রার্থী রেজ্জাক পুত্র মোস্তাক।
পারিবারিক বন্দোবস্ত করতে গিয়ে বাদ পড়েছেন বেশ কিছু জয়ী প্রার্থীও। অথচ দলীয় নির্দেশ ছিল সমস্ত জয়ী প্রার্থীরাও এবারও টিকিট পাবেন। তাঁদেরই একজন হাবিবুর রহমান বিশ্বাস। ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড অশান্তি পর্বে হাবিবুরের উপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে ভাঙড় সেভাবে অশান্তিও হয়নি। কাজে সফল, কিন্তু শিঁকে ছেড়েনি।
দলও ছাড়েননি, ছোবলও মারেননি। তবে ফোঁস করতে তো মানা নেই। প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন ইঁদুরের কামড় খেয়ে কুমিরের কাছে যেতে তিনি মোটেই রাজি নন। তবে দলে যে চোরাস্রোত রয়েছে একথা মানতে চাইছেন না আরাবুল, হাকিমুলরা। তাঁদের মতে যোগ্যতা এবং দলের সিদ্ধান্তই প্রার্থী হওয়ার মাপকাঠি।
পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনের গুঁতো, শাসকের ঘরে একাধিক শিবির, দলাদলি। এইসব ছাপিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়ের পোলেরহাট বা ভোজেরহাট মোড়ে এখন পরিবারতন্ত্র নিয়ে ফিসফাস বদলে যাচ্ছে অভিমানে।