পেশায় কৃষক, আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা এলাকার বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের সুরেন রায় ৷ গত বছর পেটে ব্যথা নিয়ে কোচবিহারে তরুণ পাল নামে এক চিকিৎসককে দেখান। চিকিৎসকের পরামর্শে আলট্রাসোনোগ্রাফি করা হলে দেখা যায় সুরেন দাসের কিডনিতে পাথর জমেছে ৷ ৭ সেপ্টেম্বর চিকিৎসক তরুণ পালের নার্সিংহোমেই অস্ত্রোপচার হয় রোগীর।
আরও পড়ুন
advertisement
মেধাতালিকা প্রকাশের পরও কাটল না জট, ফের মামলার ফাঁসে শিক্ষক নিয়োগ
অভিযোগ, অপারেশনের বেশ কয়েক মাস পরেও পেটের ব্যথা না কমায় ফের চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন সুরেনবাবু ৷ তখন ফের কিছু ওষুধ দিয়ে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক । কিন্তু, সুরেন রায়ের সন্দেহ হওয়ায় তিনি ফের আলট্রাসোনোগ্রাফি করেন। তাতে দেখা যায় তাঁর একটি কিডনি নেই। রিপোর্ট ভুল এসেছে ভেবে এরপর কোচবিহার ও শিলিগুড়ির একাধিক জায়গায় আলট্রাসোনোগ্রাফি করান তিনি। সর্বত্রই দেখা যায় তাঁর একটি কিডনি নেই।
এই মর্মে মঙ্গলবার কোচবিহার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা সুরেন রায়। ইচ্ছে করেই কি কিডনি বাদ দেওয়া হয়েছে? কোচবিহারের ওই হাসপাতালে কি তা হলে চলছে কিডনি পাচার চক্র? অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কোচবিহারের জেলাশাসক।