আরও পড়ুন : তেলের দাম বৃদ্ধিতে এবার রাশ টানতে চলেছে কেন্দ্র
আমন গ্রামের বাসিন্দা , ২৬ বছরের কৃষক বাক্স পর্তি ৪০ টাকা করে পেয়েছে । মোট মূল্য ৪ হাজার টাকা কিন্তু ৩৩২০ বাদ দিয়ে মোট ৬৮০ টাকা কৃষকের উত্পাদিত ফসলের মূল্য । বৃহস্পতিবার পাপ্পু মহাজনের কাছ থেকে পাওয়া রসিদে দেখা যায়, ২৫০০ টাকা গাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা শ্রমিক বাবদ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৩২০ টাকা বাদ দেওয়া হয়েছে ।
advertisement
পাপ্পু জানায় দ্বাদশ শ্রেণির পর লেখাপড়া ছেড়ে দেয় সংসারের হাল ধরতে ও বাবার হাত শক্ত করতে । ৪ একর জমিতে কঠোর পরিশ্রম করে ফসল ফলিয়ে । এই রকম পারিশ্রমিক সে পাবে তা ভাবতে পারেনি ।
আরও পড়ুন : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত পরিবার
পাপ্পুই একমাত্র কৃষক নয় যে এই সমস্যার শিকার আরও অনেকেই আছে যারা এই সমস্যায় জেরবার । আমনের আরও এক কৃষক ৪৫ বছরের বৃজেশ কুমার জানিয়েছে চাষবাষ করার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছে । এখন পরিস্থিতি যা উত্পাদিত টমেটো ফেলে দিতে হবে, এত কম দাম যদি পায় ঋণ শোধই বা হবে কী করে, বা সংসারই চলবে কী করে । ঋণদাতাদের চাপে এবার তাকে হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে ।
সমস্যার অন্যতম কারণ এলাকায় কোনও হিমঘর নেই যাতে পচনশীল খাদ্য দ্রব্য সঞ্চিত রাখা যায় । এলাকার অন্যান্য কৃষকের অভিযোগ বারবার রাজ্য সরকারকে হিমঘরের অনুরোধ করেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি । স্বাভাবিক ভাবেই তারা হতাশাগ্রস্ত ।